• শনিবার , ১৮ মে ২০২৪

নানা টালবাহানার পর অবশেষে রাজ্জাককে ফেরত দিল মিয়ানমার-সন্ধ্যায় দেশে পৌচেছেন


প্রকাশিত: ১:১৬ পিএম, ২৫ জুন ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮ বার

 

নায়েক আবদুর রাজ্জাক  বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অপহৃত নায়েক আবদুর রাজ্জাককে গত আট দিনের নানা টালবাহানার পর অবশেষে ফেরত দিয়েছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে তাঁকে হস্তান্তর করা হয় বলে বিজিবির কক্সবাজারের সেক্টর কমান্ডার এম এম আনিসুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার তাকে নিয়ে দেশে পৌঁছায় বিজিবি’র প্রতিনিধি দল।

আবদুর রাজ্জাককে ফিরিয়ে আনতে বিজিবির একটি প্রতিনিধিদল আজ সকালে মিয়ানমারের মংডুতে পতাকা বৈঠকে অংশ নিতে যায়। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটি দিয়ে কোস্ট গার্ডের দুটি হাইস্পিড বোটে বিজিবির প্রতিনিধিদল মংডুর উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় টেকনাফ ৪২ বিজিবির অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, তাঁরা অপহৃত রাজ্জাককে ফিরিয়ে আনতে পতাকা বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
বিজিবির সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন টেকনাফ ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবু জার আল জাহিদ। বিজিবির প্রতিনিধিদলটি বিজিপির ১০ সদস্pataka boitak-80যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মিয়ানমারের বিজিপি আট দিন আগে রাজ্জাককে অপহরণ করে। ১৭ জুন ভোরে বিজিবির ছয় সদস্যের একটি দল নায়েক রাজ্জাকের নেতৃত্বে নাফ নদীতে টহল দিচ্ছিল। তাঁরা বাংলাদেশের জলসীমায় মাদক চোরাচালান সন্দেহে দুটি নৌকায় তল্লাশি করছিলেন। এ সময় মিয়ানমারের রইগ্যাদং ক্যাম্পের বিজিপির সদস্যরা একটি ট্রলারে করে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। একপর্যায়ে বিজিপির সদস্যদের বহনকারী ট্রলারটি বিজিবির টহল নৌযানের কাছে এসে থামে। বিজিপির ট্রলারটিকে বাংলাদেশের জলসীমা ছেড়ে যেতে বলা হলে তারা নায়েক রাজ্জাককে জোর করে ট্রলারে তুলে নেয়। বিজিবির অন্য সদস্যরা এতে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে সিপাহি বিপ্লব কুমার গুলিবিদ্ধ হন। পরে বিজিপির ট্রলারটি রাজ্জাককে নিয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।

মিয়ানমারের অভিযোগ, আবদুর রাজ্জাক তাদের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করেছেন।রাজ্জাককে অপহরণের পর তাঁর হাতকড়া পরানো ছবি বিজিপির ফেসবুক পেজে প্রচার করা হয়। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এ ধরনের ছবি প্রচারের তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ।