• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

শীর্ষ সন্ত্রাসীরা মাঠে-ইমন-মামুন বাহিনীর গোলাগুলি


প্রকাশিত: ২:৩২ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২৩ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩২ বার

০০ শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের ওপর হামলা ০০ সন্ত্রাসীদের আখড়া পিয়াসী বার


বিশেষ প্রতিনিধি : নির্বাচন টার্গেট করে ফের মাঠে নেমেছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন-মামুন বাহিনী। ঢাকার মদের বার গুলো হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীদের আড্ডার চারণভূমি। মগবাজারের পিয়াসী বার থেকে ফের শুরু হলো শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অপারেশন রুট। পিয়াসী বার থেকে মদ খেয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ মামুনের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ছোড়া গুলিতে আহত মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলকে সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সোমবার রাতে প্রাইভেটকার আরোহী এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পরে তারিক সাঈদ মামুন (৫৪) নামের ওই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে তারা। এ সময় ওই এলাকা দিয়ে যাওয়া এক মোটরসাইকেল আরোহী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক পথচারী।সন্ত্রাসী মামুন বর্তমানে রাজধানী শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা এবং সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাই শহীদ সাঈদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলার আসামি।

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের সিটি পেট্রলপাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি এলাকার মূল সড়কে এ ঘটনা ঘটে। আহত অপর দুজন হলেন আরিফুল হক (৩০) ও ভুবন চন্দ্র শীল (৫২)। মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের মাথায় গুলি লেগেছে। তাঁকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলাকারীরা চারটি মোটরসাইকেলে এসে মামুনকে বহনকারী প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে এক মোটরসাইকেল আরোহী ও একজন পথচারী আহত হন। মামুন প্রাইভেট কার থেকে বের হয়ে পালানোর চেষ্টার সময় তাঁকে কুপিয়ে আহত করা হয়।

পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের এক কর্মকর্তা বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও তারিক সাঈদ মামুন একসময় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁও এলাকার আতঙ্ক ছিলেন। তাঁদের গড়ে তোলা বাহিনীর নাম ছিল ‘ইমন–মামুন’ বাহিনী। তাঁরা দুজনই চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি। ইমন কারাগারে থাকলেও সম্প্রতি মামুন জামিনে বের হন। কারাগারে থাকা অবস্থাতেই দুজনের বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা মামুনের।

পুলিশ জানায়, মগবাজার এলাকার প্রেয়সী বার থেকে বের হয়ে মামুন, খোকন ও মিঠু নামের তিনজন প্রাইভেট কারে শুক্রাবাদের বাসায় যাচ্ছিলেন। সিটি পেট্রলপাম্প ও বিজি প্রেসের মাঝামাঝি রাস্তায় চারটি মোটরসাইকেলে সাত–আটজন সন্ত্রাসী মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তাৎক্ষণিক প্রাইভেট কার থেকে মামুন, মিঠু ও খোকন নেমে পড়েন।

এ সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মামুনের পিঠ ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পুলিশের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুক বলেন, হামলায় তিনজন আহত হওয়ার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা সম্ভব যাবে।