• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

র‌্যাবের বিরুদ্ধে ১৯৮ স্বাক্ষী-লালঘরে তারেক আরিফ রানা


প্রকাশিত: ৪:৪২ এএম, ১৮ মে ১৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৯ বার

স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা ১৮ মে ২০১৪:

 


অবশেষে লালঘরে ঢুকতে হলো অভিযুক্ত র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক, আরিফ ও রানাকে।নারায়নগঞ্জের ৭ খুনের মামলায় তাদের এর আগে গ্রেফতার দেখানো হয়।তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ১৯৮ জন গণশুনানিতে স্বাক্ষী দিয়েছে।

শনিবার রাত দেড়টার দিকে নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁকে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরপর রাতেই তাঁকে নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয় র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে৷ 

সাতজনকে অপহরণের পর খুনের ঘটনায় চাকির হারানো সেনাসদস্য ও র‍্যাব–১১–এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদকে কঠোর নিরাপত্তায় গতকাল নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এম এম রানাকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত দেড়টার দিকে নৌবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা তাঁকে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরপর রাতেই তাঁকে নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয় র্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে৷ নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় চাকরি হারানো এই দুই সেনা কর্মকর্তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের অপর সহযোগী নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এম এম রানাকে আজ আদালতে হাজির করে রিমান্ডে আনা হবে।
শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে ঢাকা সেনানিবাসের বাসা থেকে র্যাবের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে আটক করে পুলিশ৷ দুপুরে তাঁদের নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন৷
তবে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় দুটি মামলা থাকলেও অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় (সন্দেহমূলক) গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যা মামলাতেও এঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে আজ রোববার শুনানি হতে পারে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, প্রচ্ছন্নভাবে এই কর্মকর্তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ তাঁদের দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা উচিত ছিল৷
শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মিলিটারি পুলিশের সহায়তায় দুই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করে। হাইকোর্ট তাঁদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়ার ছয় দিন পর ঢাকা সেনানিবাসে এই অভিযান চালানো হয়। এই ছয় দিনে হাইকোর্টের আদেশ মানতে নানা আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ৷
রানাগ্রেপ্তার হওয়া সেনা কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মাদ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর জামাতা। ৫ মে সেনা ও নৌবাহিনী এই তিন কর্মকর্তাকে অকালীন ও বাধ্যতামূলক অবসর দেয়।
গত ২৭ এপ্রিল কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম অপহৃত হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী সেলিনা ইসলাম কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। ৩০ এপ্রিল লাশ পাওয়ার পর সেই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এ ছাড়া লাশ পাওয়ার পর ১১ মে আইনজীবী চন্দন ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ফতুল্লা থানায় আরেকটি মামলা করেন।
৪ মে নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা ছয় কোটি টাকার বিনিময়ে সাতজনকে অপহরণের পর খুন করেন।
জেলা আইনজীবী নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেখানেও তিনি লিখেছেন, নূর হোসেনের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন অভিযুক্ত র‌্যাব কর্মকর্তারা। তিনি বলেন, ‘আবেদনে আমরা বলেছি, এই মামলার যত আলামত ও সাক্ষ্যপ্রমাণ এসেছে, তাতে প্রতীয়মান হয় যে র‌্যাব তাঁদের অপহরণ করে হত্যা করেছে।
দুই কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় কেন গ্রেপ্তার করা হলো, জানতে চাইলে সরাসরি কোনো উত্তর দেননি নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলা অবস্থায় একটা মামলা নিয়ে কথা বলা ঠিক নয়। আমরা হাইকোর্টের আদেশ পালন করেছি। যদি কেউ অন্য কোনোভাবে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁদেরও ধরা হবে। এটা অনেক বড় মামলা। এর ব্যাপ্তি অনেক বেশি।’
রানা গ্রেপ্তার: নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন রাতে বলেন, রাত দেড়টার দিকে রানাকে গ্রেপ্তারের পর নারায়ণগঞ্জে আনা হচ্ছে।
নৌবাহিনীর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের পর রানাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর আগে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ রানাকে গ্রেপ্তারের জন্য রিকুইজিশন দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশকে। সেখান থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা রানাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আলোচনা করেন। এরপর রাতে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এতদিন রানা কোথায় ছিলেন সে ব্যাপারে কর্মকর্তারা কিছুই বলেননি। রানা র্যাব-১১-এর কোম্পািন কমান্ডার ছিলেন। ২০১৩ সালের জুলাই মাসে তিনি র্যাবে যোগ দেন। এর পর থেকে ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি কমান্ডার হিেসবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সাতজন অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় চাকরি হারানো সেনাসদস্য মেজর আরিফ হোসেনকে গতকাল কঠোর নিরাপত্তায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয় l ছবি: প্রথম আলোআদালতে দুই কর্মকর্তা: র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে গতকাল ভোরে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। প্রথমে তাঁদের পুলিশ লাইনে রাখা হয়। এরপর কড়া নিরাপত্তায় বেলা দুইটার কিছু পর তাঁদের দুটি পিকআপে চালকের পেছনের আসনে বসিয়ে নারায়ণগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে নেওয়া হয়। আদালতে ঢোকানোর সময় দুজনকেই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরানো হয়। হাতে হাতকড়া ছিল না।
এ সময় আদালতকক্ষে আইনজীবীদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। বিচারক চাঁদনী রূপম এজলাসে ওঠার পর আইনজীবীরা বক্তব্য দিতে শুরু করেন। দুই কর্মকর্তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আইনজীবীদের বক্তব্যের পর তারেক সাঈদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতকে বলেন, ‘একজন আইনজীবী খুন হলে সব আইনজীবী ক্ষুব্ধ হবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে ছয় কোটি টাকা নিয়ে সাতজনকে হত্যার অভিযোগ মিডিয়ার সৃষ্টি। মামলায় আমাদের আসামি করা হয়নি। টেলিভিশনে ও পত্রপত্রিকার রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে যে নূর হোসেনের টাকা নিয়ে র্যাব এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ফলে র্যাবের প্রতি আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এতে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে র্যাবের। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। ১০ দিন কেন, প্রয়োজনে ২০ দিন রিমান্ডে নেওয়া হোক আমাদের। তবু সত্য উদ্ঘাটন করা হোক।’
এ কথা বলার পরপরই আইনজীবীরা হইচই করে ওঠেন। তাঁরা বলেন, ‘গণমাধ্যম র্যাবের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে না। আপনারা সাতজন মানুষ খুন করেছেন, গণমাধ্যম সেই কথাই বলছে।’
এরপর আদালত আরিফ হোসেনের কাছে জানতে চান, তিনি কিছু বলতে চান কি না। আরিফ বলেন, ‘আমি কিছু বলব না।’
এ সময় দুই আসামিকে হাতকড়া পরানোর জন্য আইনজীবীরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আদালত বলেন, ‘অন্য আসামিদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়, তাঁদের সঙ্গেও তা করা হোক।’ আদালতের নির্দেশের পর কাঠগড়ায় দাঁড়ানো দুই আসামিকে হাতকড়া পরায় পুলিশ। বেলা তিনটা বাজার কিছু আগে তাঁদের আদালত থেকে বের করা হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা দুই কর্মকর্তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

 

 

 

 

র‌্যাবের বিরুদ্ধে ১৯৮ স্বাক্ষী-

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় তৃতীয় দফায় সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুেকন্দ্রের ভেতরে রেস্ট হাউসে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এই গণশুনানি চলে।
সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ৩১০ জনের নাম তালিকাভুক্ত করা হলেও ১৯৮ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে তদন্ত কমিটি। এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে সাতজনকে অপহরণের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাপড় ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, র‌্যাবই নজরুলসহ সাতজনকে তুলে নিয়ে গেছে।
রোববার বেলা তিনটায় জেলা সার্কিট হাউসে চতুর্থ দফায় সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের কর্মীদের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।
আজ গণশুনানিতে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় কয়েক শ নারী-পুরুষ সাক্ষ্য দিতে বিদ্যুেকন্দ্রের ভেতরে রেস্ট হাউসের সামনে জড়ো হন। তদন্ত কমিটি বেলা ১১টা থেকে রেস্ট হাউসের দোতলায় সাক্ষ্য নেওয়া শুরু করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার মাহমুদ আলীর (৬৫) সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে সাক্ষ্য গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেন সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহজাহান আলী। সাক্ষ্য দেওয়া শেষে মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের জানান, নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম একজন ভালো লোক ছিলেন। ঘটনার দিন র‌্যাব পরিচয়ে নজরুলসহ সাতজনকে উঠিয়ে নেওয়ার পর কারা তাঁদের হত্যা করল, তাদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তিনি। প্রশাসন ইচ্ছা করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারে। তিনি ক্ষোভের সঙ্গে আরও জানান, ৪০ বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের বিদেশ থেকে দেশে এনে বিচার করতে পারলে নজরুলসহ সাত খুনের আসামিদের কেন এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি সরকার।
মিজমিজি এলাকার বৃদ্ধ আবদুল খালেক সাক্ষ্য দিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি নূর হোসেনের লোকজন নজরুলকে মারতে এসে এলাকায় তাণ্ডব চালায়। পরে নূর হোসেনই নজরুলের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। সেই মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে নজরুল অপহূত হন। তাঁর দাবি নূর হোসেনই র‌্যাব দিয়ে নজরুলসহ সাতজনকে অপহরণ করিয়ে খুন করেছে।
বন্দর থানা এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্যে ওই দিনের (২৭ এপ্রিল) ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। সাক্ষ্য দিয়ে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ২৭ এপ্রিল মেয়ের পরীক্ষা শেষে তাকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড দিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে রাস্তায় র‌্যাব-১১-এর দুটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র‌্যাবের সদস্যরা তাঁকে ধমক দিয়ে চলে যেতে বলেন। ওই সময় অন্য দুইটি গাড়ি থেকে কিছু লোককে র‌্যাবের গাড়িতে জোর করে তোলা হচ্ছিল। এ সময় কয়েকজনের হাতে পিস্তল ছিল, যা দিয়ে তাঁদের মাথায় আঘাত করতে দেখা গেছে। র‌্যাবই নজরুলসহ সাতজনকে তুলে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। মো. শহীদুল ইসলামের ধারণা, র‌্যাব চেকপোস্ট বসিয়ে অপরাধীদের তল্লাশি করছে। পরে তিনি গণমাধ্যমে নজরুলসহ সাত জনকে অপহরণের বিষয়টি জানতে পারেন।
নিজের বিবেকের তাড়নায়ই শহীদুল ইসলাম সাক্ষ্য দিতে এসেছেন বলেও জানান। নিহত নজরুল ও নূর হোসেনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় নেই।
তদন্ত কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তদন্তের স্বার্থে শুনানির বিষয়গুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র‌্যাবসহ তদন্তের স্বার্থে যে কাউকে কমিটি জিজ্ঞাসাবাদ করবে।