• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

রাবি’র সেক্সিটিচার-ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করে চাকরী খোয়ালো


প্রকাশিত: ৩:৪৩ এএম, ২২ এপ্রিল ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৪ বার

 
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী াবিশ্বদ্যিালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কামরুল হাসান মজুমদারকে বাধ্যতামূলক অবসর পাঠানো হয়েছে।1 বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আমজাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল হাসান মজুমদার রাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে অক্টোবরের শেষের দিকে ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক কামরুল হাসান মজুমদারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন । ছাত্রীর অভিযোগ, প্রথমদিকে তিনি শিক্ষককে নানাভাবে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু দিন দিন শিক্ষকের যৌন হয়রানির মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে বাধ্য হয়ে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: চাঁদা না দেওয়ায় যুবককে জেলহাজতে পাঠানো সেই এএসআই প্রত্যাহার

এরপর তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের কাছে ২০১৫ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে চাকরিচুত্য করার সুপারিশ করে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি । সিন্ডিকেট সুপারিশ গ্রহণ করে একটি সুপারিশ পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে চার সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি পর্যালোচনা শেষে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরের সুপারিশ করে। বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেট সভায় তা পাস হয়।

রাবির আরও খবর: ভর্তি কার্যক্রমে অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়

বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন ও নিরোধ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক কামরুল হাসান মজুমদার মুঠোফোনে ছাত্রীটিকে একাধিকবার আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়েছেন। তার প্রস্তাবে রাজি হলে বিভাগে ভালো ফলাফলের নিশ্চয়তাসহ শিক্ষক হওয়ার লোভনীয় সুযোগের প্রস্তাব দিয়ে ছাত্রীকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। তবে ওই ছাত্রী শিক্ষকের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন।

এদিকে, সিন্ডিকেট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান এই সিদ্ধান্তে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কমিটির গঠন ও কার্য প্রক্রিয়ায় সমস্যা আছে উল্লেখ করে তিনি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন।