• বৃহস্পতিবার , ৯ মে ২০২৪

‘যাকে নৌকা দেব তার পক্ষেই থাকতে হবে’


প্রকাশিত: ৩:১২ পিএম, ২৩ জুন ১৮ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১১ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  দলের মধ্যে যারা গ্রুপিং করবে, তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাবে না- নেতাদেরকে এমন 23-06-18-PM_Bangabandhu Bhaban-3সতর্কবার্তা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাকে নৌকা মার্কা দেব; তার পক্ষে কাজ করতে হবে। নৌকার জন্য ভোট চাইতে হবে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর গণভবনে দলের যৌথ সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।এ সময় শেখ হাসিনা আরো বলেন, এবারের নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য টানা তৃতীয়বারের লড়াই হবে।

তাই এ নির্বাচনে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।তিনি বলেন, ‘আমি লক্ষ্য করছি, কেউ কেউ স্বপ্রণোদিত হয়ে একা একাই প্রার্থী হয়ে যাচ্ছেন। আর প্রার্থী হয়েই তারা বিএনপি কী লুটপাট, সন্ত্রাস করল সেটা বলেন না। তার বক্তব্য এসে যায় দলীয় এমপির বিরুদ্ধে, সংগঠনের বিরুদ্ধে।’

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নে দিনরাত যে কাজগুলো করে যাচ্ছে সেগুলো ভুলে গিয়ে কোথায় কার কী দোষ আছে সেটা খুঁজে বের করে যারা জনগণের কাছে বলবেন, তারা কখনো দলের নমিনেশন পাবেন না।’গত দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও যারা দলের বদনাম করবে তাদের জনগণও ভোট দেবে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।‘

যে কেউ প্রার্থী হতে পারে। কিন্তু প্রার্থী হতে গিয়ে আমার দলের বদনাম করবে, তা আমি কোনোমতেই মেনে নেবো না,’ বলেন তিনি।সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণ এখন খুব হিসেবী। ‘কেউ দুর্নীতি করলে জনগণ কিন্তু সেটা ঠিকই মাথায় রাখে। কাজ করতে গিয়ে টাকা নিলে এরপর ভোট চাইতে গেলে বলবে: টাকা দিয়ে কাজ নিয়েছি, ভোট দেবো কেন?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের কিন্তু এখন চক্ষু খুলে গেছে। এখন ডিজিটাল যুগ। তারাও এখন বিশ্বকে জানতে পারে। তাই সংসদ সদস্যদের হাতে এখন সময় খুব বেশি নাই। কেউ নমিনেশন পাবেন কি পাবেন না তা নির্ভর করে আপনার এলাকায় আপনারা কারা কতটুকু জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছেন।

আর আমাদের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কতটুকু মূল্যায়ন করেছেন।’দুঃসময়ে যারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী হয়ে থেকেছে, দুঃসময়ে যারা দলের হাল ধরে রাখে, সেই দুঃসময়ের নেতাকর্মীরা যেন অবহেলিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশজুড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, ছিটমহল বিলোপ, পার্বত্য শান্তিচুক্তি, বয়স্ক বাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ভাতা ও উপবৃত্তি চালু, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি, মামলার মাধ্যমে সমুদ্রসীমা জয়সহ আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরেন।একই সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়নের নানা উদাহরণ নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা। বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে আকাশ থেকে মহাকাশে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।

প্রবাসীদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশ থেকে বৈধভাবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কর্মীদের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হচ্ছে। এভাবে যারা বিদেশে যাচ্ছে, তাদের নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধার দিকে সরকার খেয়াল রাখছে।

মাদকবিরোধী অভিযান চলবে-মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি মাদকের কারণে কীভাবে একেকটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যায়।’ আর কোনো পরিবার যেন এভাবে ধ্বংস না হয়, সেজন্য বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের মতোই মাদকের বিরুদ্ধেও কঠোর অভিযান চলবে।