• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কুমিল্লায় সূচী মুন্সিগঞ্জে ফাহরিয়ার ময়মনসিংহে টিটুর জয়লাভ


প্রকাশিত: ১০:৩০ পিএম, ৯ মার্চ ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২০ বার

কুমিল্লা প্রতিনিধি : তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কুমিল্লায় সূচী মুন্সিগঞ্জে ফাহরিয়া জয়লাভ করেছে; অন্যদিকে ময়মনসিংহে বিপুল এগিয়ে আছেন টিটু। কুমিল্লার প্রথম নারী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডা. তাহসিন বাহার সূচী। শনিবার (৯ মার্চ) বেসরকারিভাবে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে তাহসীন বাহার সূচীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বেসরকারি ফলাফলে তিনি মোট পেয়েছেন ৪৮৮৯০ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুল হক পেয়েছেন ২৬৮৯৭ ভোট।

কুমিল্লা সিটির ১০৫ কেন্দ্রের সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী বাস প্রতীকে তাহসিন বাহার সূচী পেয়েছেন ৪৮৮৯০ ভোট। টেবিল ঘড়ি প্রতীকে মনিরুল হক পেয়েছেন ২৬৮৯৭ ভোট, ঘোড়া প্রতীকে মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন পেয়েছেন ১৩১৫৫ ভোট এবং হাতি প্রতীকে নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম পেয়েছেন ৫১৭৩ ভোট।

কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ৩৮ শতাংশ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।বিজয়ী তাহসীন বাহার সূচি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এ বিজয় নগরবাসীর।এ সময় পরিকল্পিত, নিরাপদ ও স্মার্ট কুমিল্লা নগরী গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি সততার সাথে কাজ করার অঙ্গীকারও করেন নগরীর নতুন ও প্রথম এই নারী মেয়র।

মুন্সীগঞ্জে জিতল ফাহরিয়া আফরিন

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবের স্ত্রী চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন। জগ প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৯৪টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহতাব উদ্দিন কল্লোল নারিকেল গাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৬১০ ভোট।

শনিবার (৯ মার্চ) বিকালে জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ বশির আহমেদ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার তৎকালীন মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করলে পদটি শূন্য হয়। এ কারণে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ময়মনসিংহে টিটু জিতল

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মো. ইকরামুল হক টিটু। ঘড়ি প্রতীকে ১২৮টি কেন্দ্রে টিটু পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯৫৯ ভোট। অপরদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি প্রতীকের প্রার্থী সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৯৫ ভোট।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ৩৩টি ওয়ার্ড। মেয়র পদে পাঁচজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় একটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে সকাল ৮টা থেকেই শুরু হওয়া এ নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রে আসা শুরু করেন। তবে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। কেন্দ্রের বাইরে ভোটার ও প্রার্থীদের সমর্থকদের কারণে জমজমাট পরিবেশ ছিল। প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরেই প্রার্থীরা দাড়িয়ে ভোটারদের ভোট কামনা করেন। কেন্দ্রের বাইরে ছিল প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্প। ভোট কেন্দ্র গুলোতে কর্তব্যরত পুলিশ ও আনসার সদ্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করেন।

তবে ইভিএমে ভোটগ্রহণে কিছুটা ধীরগতি ছিল। ইভিএম মেশিনে অনেকের আঙুলের ছাপ ঠিকমতো না ওঠায় তারা ভোট দিতে সমস্যায় পড়েন। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের এমন দৃশ্য দেখা গেছে। অনেক কেন্দ্রের পোলিং অফিসারদের মতে, বিভিন্ন কারণে ভোট গ্রহণ দেরি হয়েছে। আঙুলের ছাপ নিতে দেরি হয়েছে। তাই ভোটগ্রহণ ধীরগতিতে হয়েছে।

এছাড়াও কয়েকটি কেন্দ্রে কোনো কোনো ভোটার বিশেষ করে বয়স্ক ভোটাররা ইভিএম এ ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন। তবে নারী ভোটারের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও কোথাও কোনো অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি। তবে শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় ভোটাররা উচ্ছ্বাস ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

সকাল সোয়া ৯টায় মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু নগরীর প্রিমিয়ার আইডিয়াল হাই স্কুলে, মেয়র প্রার্থী এহতেশামুল আলম ভোট দেন মুসলিম গার্লস স্কুলে, মেয়র প্রার্থী সাদেকুল হক খান মিল্কী টজু এডওয়ার্ড স্কুলে এবং মৃত্যুঞ্জয় কেন্দ্রে ভোট দেন লাঙ্গল প্রতীকের শহীদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল।

তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ইকরামুল হক টিটু বলেন, আমি নগরবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে ভালো কাজের মাধ্যমে আমি জনগণের ভালোবাসার প্রতিদান দেব। দ্রুত নগরীর অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করে ময়মনসিংহবাসীকে একটি সুন্দর, আধুনিক ও স্মার্ট নগরী উপহার দেব।

উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, ৩৩টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন, ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৮টি। ভোট কক্ষে সংখ্যা ৯৯০টি। নির্বাচনী দায়িত্ব ছিলেন ৩ হাজার ২৫৩ জন কর্মকর্তা। মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬। এর মাঝে পুরুষ হলো ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩২, মহিলা ১ লাখ ৭২ হাজা