• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শরিকদের আসনে স্বতন্ত্র চলবেনা:ইনু


প্রকাশিত: ১১:২৯ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : জোটগতভাবে অংশ নেয়া নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী চায় না জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ।শনিবার বিকেলে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের ন্যাম ভবনে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) ইলেকশন এক্সপার্ট মিশন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শরিকদের আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের পদ ধারী কেউ নির্বাচন করা জোটের নীতি বিরোধী। এ বিষয় ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগকে।

আমরা বলেছি, জোটের যেখানে প্রার্থী দেবেন সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতা দেবেন না। তাহলেতো সেই আওয়ামী লীগের সঙ্গেই লড়াই করতে হচ্ছে। তাহলে সেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে।ইনু বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা যারা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন। জোটের মনোনীত প্রার্থীর জায়গায় আমরা যেমন আওয়ামী লীগের প্রার্থী চাই না। সেরকম আওয়ামী নেতার স্বতন্ত্র প্রার্থী চাই না। এজন্য চাই না, তাতে হবে কী জোটের যে লক্ষ্য সেটা মার খাবে, যখন স্বতন্ত্র আওয়ামী লীগ প্রার্থী রাজনৈতিক বিষোদগার করতে থাকবেন। তখন সেটা আওয়ামী লীগ-জাসদ, আওয়ামী লীগ-ওয়ার্কার্স পার্টি, আওয়ামী লীগ-জেপি এরকম একটা জায়গায় চলে যাবে। যেটা জোটের নীতিবিরোধী। জোটের নীতি রক্ষা করতেই আওয়ামী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে থাকবেন না-সে ব্যাপারে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। জোটের প্রার্থীর ক্ষেত্রে। সারা বাংলাদেশের জন্য নয়। কীভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর এই সমস্যা সমাধান হবে সেটা আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা করবে। তাদের দলীয় শৃঙ্খলার বিষয়।

মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র এবং অসাম্প্রদায়িক আদর্শের ভিত্তিতে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হয় ১৪ দলীয় জোট। মূলত ওই বছরের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দলগুলোকে নিয়ে ২৩ দফা ঘোষণা দিয়ে ১৪ দলীয় জোটের যাত্রা শুরু হয়।২০০৮ সাল থেকে গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করে ভোটে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনেও জোটসঙ্গীদের ১৩ আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ।

জোটের অন্যান্য দলের সিংহভাগ প্রার্থীই আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। এবারের ভোটেও নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগতভাবে ভোট করার কথা জানিয়ে ১৪ দলের ছয়টি দল নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে।এদিন তফসিল ঘোষণার পর মাত্র দুটি আসন ছেড়ে ২৯৮ আসনেই প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই দুই আসন হলো জাসদের হাসানুল হক ইনুর কুষ্টিয়া-২ ও জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের নারায়ণগঞ্জ-৫।

এবার ১৪ দলের শরিকদের জন্য আওয়ামী লীগ কতটি আসনে ছাড় দেবে তা নিয়েই চলছে গুঞ্জন।ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে শরিকদের আসন কীভাবে বন্টন হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, মাঠে অনেক কথাই শোনা যাচ্ছে। তবে তা সঠিক নয়। শরিকদের সঙ্গে আসন বন্টন নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা হয়নি। তবে ১৭ ডিসেম্বরে আগেই আসন বন্টন নিয়ে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।

এদিকে ইনু জানান, জোটের বাইরেও তাদের প্রার্থী থাকবে, তারা নিজস্ব প্রতীক ‘মশাল’ নিয়ে নির্বাচন করবেন।আওয়ামী লীগের কাছে কত আসন চাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যা আছি তার চেয়ে বাড়িয়ে চেয়েছি। সংখ্যাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।নির্বাচনে ১৪ দলের গুরুত্ব নিয়ে এক প্রশ্নের ইনু বলেন, আসন বণ্টনতো এখনো হয়নি। গুরুত্ব বাড়লো কী কমলো সেটা…তবে রাজনৈতিকভাবে ১৪ দলের গুরুত্ব আছে। সেটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ১৪দলীয় নেতৃত্বে সঙ্গে বৈঠক করেই প্রমাণ করেছেন।

এদিকে বিএনপির আন্দোলনের কারণে নির্বাচনে কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তা জাসদের কাছে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সফররত ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট মিশন প্রতিনিধিদল। পাশাপাশি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে জাসদ কতটুকু সন্তুষ্ট তাও জানতে চেয়েছে ওই প্রতিনিধি দল। জবাবে দলটি জানায়, এখন পর্যন্ত নির্বাচন পরিবেশ ঠিক আছে।