• শুক্রবার , ১০ মে ২০২৪

টাকা মার যাওয়ার ভয় বেসিক ব্যাংকে-২ হাজার কোটি তুলেছে গ্রাহকরা


প্রকাশিত: ১১:৪১ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৪ বার

লাবণ্য চৌধুরী : টাকা মার যাওয়ার ভয়ে বেসিক ব্যাংক থেকে ২ হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে গ্রাহকরা। আমানত তোলার হিড়িক পড়েছে বেসিক ব্যাংকের বেসিক ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় এ অবস্থা রিাজ করছে গত কয়েক দিন ধরে।বেসিক ব্যাংক বেসরকারী সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণের খবরে সম্প্রতি ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত উঠিয়ে নেয় বেসিক ব্যাংকের গ্রাহকরা।

আমানত উত্তোলনের বাড়তি চাপ পড়েছে একীভূত হওয়া অন্যান্য ব্যাংকসহ পুরো ব্যাংক খাতেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারির আমানতের প্রবৃদ্ধি মাত্র এক শতাংশ। একীভূতকরণ নিয়ে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পূর্ণ প্রস্তুতির অভাবেই এমন পরিস্থিতি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ব্যাংক একীভূতকরণের খবরে বেড়েছে আমানত উত্তোলন। এতে সবচেয়ে বেশি চাপে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক। গ্রাহকরা বলছেন, সঞ্চয় হারানোর ভয়ে উত্তোলন করে নিচ্ছেন আমানতের অর্থ। পূর্ণ প্রস্তুতি না নিয়ে একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু করাতেই এমন পরিস্থিতি বলছেন বিশ্লেষকরা।

২০০৭ সাল থেকে বেসিক ব্যাংকের কারওয়ান বাজার শাখায় হিসাব খোলেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জানে আলম। আমানতের সাথে রয়েছে ব্যাংকটিতে ঋণও। সম্প্রতি বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের সাথে বেসিকের একীভূতর খবরে আতঙ্কিত তিনি। এসেছেন আমানতের অর্থ তুলে নিতে।

মোহাম্মদ জানে আলম বলেন, সরকারি ব্যাংকে যখন মানুষের আমানত থাকে তখন গ্রাহকদের একটা নিশ্চয়তা থাকে যে এই ব্যাংকের কিছু হলে বিষয়টি সরকার দেখবে। আর বেসরকারি ব্যাংকের প্রতি হয়তো মানুষের ততটুকু আস্থা নেই। এই কারণের আমরা একটু আতঙ্কে আছি।আমানত হারানোর একই ভয় ব্যাংকটির একযুগের গ্রাহক প্রকৌশলী ইলিয়াস আলীরও। আমানত তুলে নিতে চাচ্ছে অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানও।

প্রকৌশলী ইলিয়াস আলী বলেন, একীভূতকরণ যত দ্রুত করা সম্ভব এবং এর ব্যবস্থাপনা যদি আরও পরিষ্কার করা হয় তাহলে আমার মত আরও যারা গ্রাহক আছেন তারা সবাই উপকৃত হবেন। এবং কনফিউশন দূর হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড.সালেহউদ্দিন আহমেদ দনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, কোনো ব্যাংক অন্য ব্যাংকের সাথে একীভূতকরণ করা আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে হবে। গাইড লাইন ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশে এখন যেটা হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেই গাইডলাইন দিয়েছে সেটা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়।

পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, নিরাপত্তা তো অবশ্যই দিতে হবে। না দিলে আমি কেন বেসিক ব্যাংক বা পদ্মা ব্যাংকে টাকা রাখবো। সরকার যদি একটি প্রজ্ঞাপন দিয়ে বলতো বা এখনও যদি বলে যে ডিপোজিটে কোনো ভয় নেই, গ্রাহকের ডিপোজিটে কোন ক্ষতি হবে না তাহলে কিন্তু ভয় থাকবে না। এদিকে আমানত উত্তোলনের চাপে টান পড়েছে ব্যাংকের নগদ অর্থেও। সম্প্রতি ব্যাংক খাতে বেড়েছে কলমানি রেটও।