• বৃহস্পতিবার , ৯ মে ২০২৪

মতিঝিলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নড়াইল পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরুল কায়েস নিহত


প্রকাশিত: ৭:২০ পিএম, ১৯ জানুয়ারী ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮১ বার

বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: Gun_Fight_687749118রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নড়াইল পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর  ইমরুল কায়েস (৩৪) মারা গেছেন। তিনি স্থানীয় জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে নিহত ব্যক্তির কোনো পরিচয় নিশ্চিত করা হয়নি।

cross-fireসোমবার ভোররাত সোয়া ৩ টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পূর্ব টিমের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইমরুল নিহত হন। ঘটনার পর তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তিনি গত সপ্তাহে ঢাকায় আসেন। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।  সোমবার গণমাধ্যমের সংবাদে তার মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।

নিহতের স্ত্রীর খালাতো ভাই এডভোকেট জাহিদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তার গ্রামের বাড়ি নড়াইলের দুর্গাপুর উপজেলায়। তিনি নড়াইল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর। তার বাবার নাম আনোয়ার মোল্লা।  ইমরুল কায়েস বিবাহিত। তার স্ত্রীর নাম জান্নাতুল ফেরদাউস। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।

তিনি আরো জানান, ইমরুল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। ঢাকা আসলে তিনি রাজধানীর ওয়ারী এলাকার দক্ষিণ মুন্সীদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এক স্বজনের বাসায় থাকতেন। গত সপ্তাহে তিনি ঢাকায় আসেন। এরপর বৃহস্পতিবার নিখোঁজ হন।

এদিকে ডিএমপি জানিয়েছে, সোমবার ভোররাতে মতিঝিলের এজিবি কলোনির ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ৪/৫ জন যুবক সংগঠিত হয়ে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছিল। এমন সময় ডিবি পুলিশে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায় এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির পর অজ্ঞাত ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বাকিরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি এবং অবিস্ফোরিত ৫ টি হাত বোমা উদ্ধার করে পুলিশের আভিযানিক দলটি। গোলাগুলিতে পুলিশের ১৭ রাউন্ড পিস্তলের এবং ২৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি খরচ হয়েছে। পরবর্তীতে লাশ উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায় মতিঝিল থানা পুলিশ।

ডিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান জানান, ৪/৫ জন যুবক অপরাধ সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে নাশকতাকারীরা। এসময় তিনি নিহত হন। তবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি।