• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর হুশিয়ারি চাঁদাবাজি মজুতদারি চলবে না-দ্রব্যমূল্য কমাতে হবে


প্রকাশিত: ২:৫৪ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৩ বার


বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। সেইসঙ্গে দ্রব্যমূল্য কমানোর বিষয়টি ইশতেহারে ছিলো, সেই অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা চাই কৃষক ভালো দাম পাক। কিন্তু অবৈধ মজুদদারি এবং চাঁদাবাজি বন্ধে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য কমানোর বিষয়টি ছিলো উল্লেখ করে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনসহ নানা বিষয় নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নেতা, দলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নিয়ে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা দলের পর পর চারবার ক্ষমতায় আসা সহজ কাজ নয়; এটা জনগণের সমর্থনের কারণে সম্ভব হয়েছে। জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি।

আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, তার জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। এই নির্বাচনকে কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি। যারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তাদের কাছে প্রশ্ন, কী কী কারণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি সেটা বলতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পেরেছি। তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির অর্থ কোনো ভালো কাজে লাগে না। বরং তাদের (দুর্নীতিবাজ) সন্তানরাই বিপথে যাবে। এই বদনামটা যেন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

তৃণমূলের নেতাদের উদ্দেশে করে আওয়ামী লীগ সভাপতি একটা কথা মনে রাখবেন, নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কিছু ভোট তো পেয়েছেন। কেউ জয়ী হয়েছেন, কেউ জয়ী হতে পারেননি। কিন্তু কিছু ভোট তো পেয়েছেন। সেটি মাথায় রেখে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস যেন নষ্ট না হয়; সেটি আপনাদের চলন-বলনে ও কথায় প্রমাণ করতে হবে। সেভাবে আপনাদের কাজ করে মানুষের মন জয় করতে হবে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আমরা যেন পিছিয়ে না পড়ি, সেটি মাথায় রাখতে হবে। আপনারা সেভাবে কাজ করবেন, সেটিই চাই।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে না হয়, সেজন্য ‌বিরাট চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনই যাতে না হয়, অর্থাৎ নির্বাচন হলে বাংলাদেশের মানুষের যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে, সেটি অনেকের সহ্য হয়নি, তাই এমন একটা চক্রান্ত করা শুরু করেছিলো। ‌বিএন‌পি নির্বাচ‌নে না এসে নির্বাচন বানচাল করার জন্য জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ শুরু করলো। কারণ তারা জানতো, জনগণের জন্য কাজ করে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। আর নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। এজন্যই তারা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করেছে। এই কাজে উৎসাহ যুগিয়েছিলো তাদের কিছু প্রভু।

শেখ হাসিনা বলেন, তবে এবার একটা ভালো কাজ করেছে। সেটি কী, আগে বিএনপি চুপিসারে আগুন দিতো গাড়িতে, রেলে; সব জায়গায়। এবার তারা প্রকাশ্যে দিয়ে আবার ছবি তুলেছে। তাদের গুরু (তারেক রহমান) লন্ডন থেকে বলে দিয়েছে যে, ছবি পাঠাতে হবে। বলে দেয়ায় সুবিধা হয়ে গেছে, তারা যে আগুন দিচ্ছে সেই ছবি আর এভিডেন্সটা পাওয়া যাচ্ছে। যে যে এলাকায় এই ঘটনাগুলো ঘটেছে, এগুলো জোগাড় করে… এই মামলাগুলো যেন ঠিক মতো চলে এবং শাস্তিটা যেন পায়। তাদের নেতাই তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কাকে দোষ দেবে? নেতাকে খুশি করতে ছবি তুলেছে, পাঠিয়েছে। এখন ডিজিটাল সিস্টেমে যেভাবেই পাঠাক সংগ্রহ করা কোনও কঠিন ব্যাপার না। সেভাবে এভিডেন্সগুলো এসেছে।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া শোক প্রস্তাব পাঠ করেন, সূচনা বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা ও মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।