• বৃহস্পতিবার , ৯ মে ২০২৪

দক্ষিণখানে ব্যবসায়ীর কোমরে পুলিশের গুলি-বিএনপি কর্মী বানানোর চেষ্ঠা!


প্রকাশিত: ৭:০৭ পিএম, ১২ জানুয়ারী ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

বাদশা খন্দকার.ঢাকা:

bisnesman Fayaj-www.jatirkhantha.com.bd

রাজধানীর দক্ষিণখান থানার এসআই মো. জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে আজ সোমবার সকালে প্রকাশ্যে এক ব্যবসায়ীর কোমরে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম হাজী ফায়েজ আলী (৫২)।
ফায়েজের ছেলে রাহাদুল জাতিরকন্ঠকে জানান, তাঁর বাবা কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন। তারপরও থানার এস আই জয়নাল এক মাদক ব্যবসায়ীর ইশারার ব্যবসায়ী ফায়েজকে বিএনপি কর্মী বানিয়ে নাশকতার মামলায় ফাঁসাতে চাইছে।
রাহাদুল জানান সোমবার সকালে প্রকাশ্যে কোনো কারণ ছাড়াই এসআই জয়নাল আজমপুরের মুন্সী মার্কেটের সামনে তাঁর বাবাকে গুলি করেছেন। ফায়েজ আলী উত্তরার আজমপুর এলাকায় আইয়ুব মার্কেটে এমএস নিপু এন্টারপ্রাইজ নামের একটি রড-সিমেন্টের দোকানের মালিক। তাঁর বাড়ি ১৩ নম্বর মধ্য আজমপুরে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফায়েজের আত্মীয় নূরুল হাসানের ভাষ্য, সকাল সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তিনি বলেন, ‘আমার বাসার সামনে ফায়েজের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এ সময় এসআই জয়নাল এসে কলার টেনে ধরে নিয়ে যেতে চান। কারণ জিজ্ঞাস করলে এসআই জয়নাল ফায়েজের কাঁধ ধরে পেছনে ঘুরিয়ে তাঁর কোমরে গুলি করেন।’
নূরুল হাসানের ভাষ্য, গুলি করার পর আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। এ সময় জয়নাল তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে আরেকটি পিস্তল তাক করে মোটরসাইকেলে করে চলে যান।গুরুতর আহত ফায়েজ আলীকে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ফায়েজের কোমরের ডানপাশ দিয়ে একটি গুলি লেগে বের হয়ে গেছে।

পুলিশের দাবি, ফায়েজ আলী বিএনপির সমর্থক। তাঁর বিরুদ্ধে আজমপুর রেললাইন এলাকায় নাশকতার অভিযোগ পাওয়ায় পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় ফায়েজ পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রথম আলোকে দেওয়া দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম অর রশিদ তালুকদারের ভাষ্য, ওই এলাকার পাশে রেললাইনে নাশকতার অভিযোগ পেয়ে সকালে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। প্রায় ১০-১২ জন পিকেটার সেখানে জড়ো হয়েছিল। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ফায়েজকে ধরে ফেলে। একপর্যায়ে পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান ফায়েজ। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গুলি বের হয়ে ফায়েজের পায়ে লাগে।’
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রাহাদুল ইসলাম। রাহাদুলের ভাষ্য, তাঁর বাবা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। তবে কয়েক দিন তাঁদের বাসার সামনে এসআই জয়নালকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এলাকার চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বেশ সখ্য রয়েছে।
রাহাদুল বলেন, ‘উনি (ফায়েজ আলী) কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন।’