• মঙ্গলবার , ১৪ মে ২০২৪

তারেক বিচারককে ৩ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলেন-শেখ সেলিম


প্রকাশিত: ৮:৫১ পিএম, ২২ জুলাই ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩১ বার

স্টাফ রিপোর্টার   :   বিচারিক আদালতের বিচারক মো. মোতাহার হোসেনকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস selim,-www.jatirkhantha.com.bdচেয়ারম্যান তারেক রহমান তিন কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।শুক্রবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

অর্থ পাচার মামলায় বিচারিক আদালতে তারেক রহমানের খালাস পাওয়া প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, ‘ওই যে খালেদা জিয়ার একটা পোলা আছে না, তারেক জিয়া। চোর, চুরি করে টাকা পাচার কইরা বাইরে নিছে। বিচারের সময় কী করছে জানেন? মোতাহার নামের এক বিচারককে তিন কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে কোনোমতে তারে বাঁচাবার জন্য বলছে। বলছে আমারে বাঁচিয়ে দাও কোনোভাবে। ঘুষ দিছে। ওই ব্যাটা করছে কী; যেদিন রায় দিছে, ওই দিন রাতেই পালাইয়া গেছে। কারণ, তিনি জানেন নিম্ন আদালত যে রায় দিছে, তা ঠিকমতো দেন নাই।’

এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ঐক্য ইতিমধ্যে হয়ে গেছে উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘যারা দুই শতাধিক মানুষ পোড়ায় মারছে, তাদের সঙ্গে কিসের ঐক্য? জনগণের মধ্যে ইতিমধ্যে ঐক্য হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল করব।’

‘আমরা এ দেশে থাকতে পারব না’—হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে সেলিম বলেন, ‘আক্রমণ তো আপনাদের একার ওপর হচ্ছে না। এখন শুধু হিন্দু-মুসলমান না, গোটা মানবজাতির ওপর আক্রমণ হচ্ছে। আপনারা এসব কথা চিন্তা করবেন না। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এক পরিবার হয়েছি। আমাদের এই দেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির কোনো স্থান হবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শান্তির নীড় হিসেবে বাংলাদেশে সবাই একসঙ্গে বসবাস করব।’

সেলিম আরও বলেন, বাংলাদেশের যদি কেউ ক্ষতি করে থাকে, তাহলে সবচেয়ে বেশি করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। পাকিস্তানি এজেন্ট হিসেবে জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের কৌশল পাকিস্তানি প্রভুদের জানাতেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ হিন্দু সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এই বাংলাদেশ আমার, আপনার—সবার। আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রতিটি বিপদে আপনারা আমাদের পাশে পাবেন। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যেভাবে আগুন–সন্ত্রাসীদের দমন করেছেন, ঠিক একইভাবে এবারও সন্ত্রাস দমন করে নির্মূল করা হবে।’

ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা, বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত সেন ও সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ডি এন চ্যাটার্জি ও সদস্যসচিব শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ। সম্মেলন পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা।