• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

জলদস্যুর কবলে পড়া কেএসআরএমের জাহাজ


প্রকাশিত: ১১:৪১ পিএম, ১২ মার্চ ২৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪০ বার

ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জলদস্যুদের কবলে থাকা জাহাজের ২৩ নাবিক ও ক্রুকে উদ্ধারে সরকার কাজ করছে :নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী-

 

কূটনৈতিক রিপোর্টার : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জলদস্যুদের কবলে থাকা জাহাজের ২৩ নাবিক ও ক্রুকে উদ্ধারে সরকার কাজ করছে। শিগগির তাদের উদ্ধারের ব্যবস্তা করা হচ্ছে।তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা হওয়ায় খানিকটা জটিলতা থাকলেও প্রত্যেক নাবিককে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। জানা গেছে, ‘গোল্ডেন হক’ নামের জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পরে এর নাম দেওয়া হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জলদস্যুদের কবলে থাকা জাহাজের ২৩ নাবিক ও ক্রুর পরিচয় মিলেছে। তাদের নামের একটি তালিকা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন এর হাতে এসেছে। জাহাজটিতে জিম্মি থাকা নাবিক ও ক্রুরা হলেন— ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ, চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান, দ্বিতীয় কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, তৃতীয় কর্মকর্তা মো. তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী এএসএম সাইদুজ্জামান, দ্বিতীয় প্রকৌশলী মো. তৌফিকুল ইসলাম, তৃতীয় প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন, চতুর্থ

প্রকৌশলী তানভীর আহমদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ, এবি মো. আনোয়ারুল হক, এবি মো. আসিফুর রহমান, এবি সাজ্জাদ হোসেন, ওএস জয় মাহমুদ, ওএস মো. নাজমুল হক, ওএস আইনুল হক, অয়েলার মোহাম্মদ শামসউদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশারফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস মো. নূর উদ্দিন ও ফিটার মো. সালেহ আহমেদ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে।

২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজের মালিক কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে আটক প্রত্যেক নাবিক নিরাপদে আছেন। এদিকে, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা হওয়ায় খানিকটা জটিলতা থাকলেও প্রত্যেক নাবিককে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। গত বছর এটি সংগ্রহ করে সাধারণ পণ্য পরিবহন করতে থাকে কেএসআরএম গ্রুপ। ২০১৬ সালে তৈরি হওয়া জাহাজটি লম্বায় ১৯০ মিটার।

কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, ‘জলদস্যুর কবলে পড়া জাহাজটি উদ্ধারে আমরা তৎপর রয়েছি। পাশাপাশি সরকারও আমাদের সহযোগীতা করছে, বাকিটা আল্লাহ ভরসা। এর আগেও ২০১১ সালে একই মালিকের ‘এমভি জাহান মনি’ নামের আরেকটি জাহাজ আটক করে সব নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করেছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তাদেরকেও আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।