• বৃহস্পতিবার , ১৬ মে ২০২৪

কমার্স ব্যাংকের যোগসাজশে জাপা সাংসদ শওকতের ১২০ কোটি টাকা জালিয়াতি


প্রকাশিত: ১০:৪৫ পিএম, ৯ মে ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬১ বার

বিশেষ প্রতিবেদক   :   ১২০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে নীলফামারী-৪ আসনের 22জাতীয় পার্টির সাংসদ শওকত চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কাল মঙ্গলবার রাজধানীর বংশাল থানায় আরেকটি মামলা করা হবে বলে দুদক সূত্র জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছে।

মামলায় সাংসদের বিরুদ্ধে ১২০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ আনা হচ্ছে। এর আগে রোববার শওকত চৌধুরীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে দুদক। সাংসদ শওকত চৌধুরী আজ সোমবার রাতে বলেন, ‘আমিও মামলার কথা শুনেছি। তবে কোন ঘটনায় মামলা হয়েছে তা জানি না।’

সূত্র জানায়, যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি ও যমুনা অ্যাগ্রো কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যাংকটির বংশাল শাখা থেকে ৯৩ কোটি কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২৩১ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে সুদ–আসলে সেটা দাঁড়ায় ১২০ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার ৯৯০ টাকা। প্রতিষ্ঠান দুটির মালিক শওকত চৌধুরী। দীর্ঘদিন দুর্নীতির এ অভিযোগ অনুসন্ধান শেষে দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলম মামলার সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দিলে কমিশন তা অনুমোদন দেয়।

সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক থেকে জালিয়াতির জন্য নানা কৌশল নেয় প্রতিষ্ঠান দুটি। ভুয়া মেয়াদি আমানত (এফডিআর) দেখিয়ে তার বিপরীতে ঋণ নেওয়া, বিটিআরসির একটি হিসাবকে জাল কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে নিজেদের দেখিয়ে ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনসহ নানা প্রক্রিয়ায় ওই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।শওকত চৌধুরী ছাড়াও ব্যাংকটির আট কর্মকর্তাকে মামলায় আসামি করা হচ্ছে।

এঁরা হলেন বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ব্যবস্থাপনা পরিচালকের চলতি দায়িত্বে ছিলেন) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম,সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন, বংশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি, বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার কর্মকর্তা শিরিন নিজামী, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ কুমার ও এক্সিকিউটিভ অফিসার আসজাদুর রহমান।

এর আগে রোববার শওকত চৌধুরীসহ ওই নয়জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে দুদক। ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখার গ্রাহক উদয়ন অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে দুটি ঋণপত্রের (এলসি) মাধ্যমে আমদানি করা পণ্যের মূল্য বাবদ ৮২ লাখ ৮৯ হাজার ৮৯৫ টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে সেটি সুদাসলে ১ কোটি ১১ লাখ ৭৮ লাখ ৮৯১ টাকা হয়।

বিকেলে মামলা করে রাতেই পাঁচ ব্যাংকারকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কমার্স ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস, সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন, বংশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুল গনি ও এক্সিকিউটিভ অফিসার আসজাদুর রহমান।