• বৃহস্পতিবার , ১৬ মে ২০২৪

এবার কালোজামের রস থেকে সৌর বিদ্যুৎ!


প্রকাশিত: ১:২০ পিএম, ১ মে ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৯ বার

jam=www.jatirkhantha.com.bdকলকাতা থেকে মিরা নায়ার :  এবার কালোজামের রস থেকে সৌর বিদ্যুৎ বানিয়েছে এক বিজ্ঞানী ! ভারতীয় ওই বিজ্ঞানী কালো জাম থেকে খুব কম খরচের সোলার সেল বানিয়ে ফেলছেন। ইতিমধ্যে এই সেল বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আন্তজার্তিক গবেষণা নিবন্ধে এটা প্রকাশ হওযায় সর্বত্র বেশ তোলপাড় শুরু হয়েছে।

ভারতীয় বিজ্ঞানী জানান, ডাই-সেনসিটাইজ্‌ড সোলার সেলে (ডিএসএসসি) সূর্যালোককে শুষে নেওয়ার জন্য যে ফোটোসিন্থেসাইজারের প্রয়োজন হয়, কালো জামের মধ্যে থাকা এক ধরনের পিগমেন্ট দিয়ে তা খুব সস্তায় বানিয়ে ফেলেছে রুরকির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (আইআইটি) গবেষক অধ্যাপক সৌমিত্র শতপথির নেতৃত্বে এক গবেষকদল।

দেখা গিয়েছে, কালো জামের মধ্যে থাকা পিগমেন্টই সূর্যালোক টেনে নিতে পারে অনায়াসে। ওই ধরনের ডাই-সেনসিটাইজ্‌ড সোলার সেলকে ‘গ্র্যাটঝেল সেল’ও বলা হয়। সৌমিত্রের গবেষণাপত্রটি হালে প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘জার্নাল অফ ফোটোভোল্টেইক্স’-এ।

রুরকি আইআইটি’র অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সৌমিত্র শতপথি বলেছেন, কালো জামের কালো রংই আমাকে প্রথম ভাবিয়েছিল, কোনও ভাবে তাকে ডাই সেনসিটাইজ্‌ড সোলার সেল বানানোর জন্য ফোটো সিন্থেসাইজার বা ডাই (রঞ্জক) হিসেবে ব্যবহার করা যায় কি না। পরে আমি উৎসাহিত হয়ে পড়ি, কারণ, আমাদের দেশে কালো জামের গাছের কোনও অভাব নেই।

আমাদের আইআইটি ক্যাম্পাসেই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কালো জামের গাছ। গবেষকরা ইথানল বা ইথাইল অ্যালকোহল দিয়ে কালো জামের মধ্যে থাকা ওই পিগমেন্টটিকে বের করে এনেছেন। কালো জামের মধ্যে থেকে বের করে আনা ওই রঙিন পিগমেন্টটির নাম ‘অ্যান্থোসায়ানিন’।

সৌমিত্র বলেছেন, ‘‘সেটাকেই (‘অ্যান্থোসায়ানিন’) আমরা আমাদের উদ্ভাবিত সেলে ফোটোসিন্থেসাইজার হিসেবে ব্যবহার করেছি। সূর্যালোক শুষে নেওয়ার জন্য সাধারণত, রুথেনিয়ামের কোনও পিগমেন্ট ব্যবহার করা হতো এত দিন। কিন্তু তা বেশ ব্যয়সাপেক্ষ। তার তুলনায় অনেক কম খরচে কালো জামের মধ্যে থাকা ওই রঙিন পিগমেন্টটি দিয়েই আমাদের সোলার সেলের ফোটোসিন্থেসাইজারের কাজটা করিয়ে নেওয়া যায়।

আর সেটা করা যায় অনেকটাই অনায়াসে। উষ্ণায়নের চিন্তা আর জীবাশ্ম জ্বালানির ভাণ্ডার উত্তরোত্তর ফুরিয়ে আসার ফলেই বিকল্প জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা বেড়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে সৌরশক্তিই হয়ে উঠতে পারে আদর্শ বিকল্প জ্বালানি। আর তা যদি খুব কম খরচে বানানো যায়, তা হলে তো আর কোনও চিন্তাই থাকে না।