• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

দেশ গড়ার শক্তি রেমিট্যান্স:প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১১:০১ পিএম, ১৬ জানুয়ারী ২৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৯ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি : গণতন্ত্র রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা পাওয়ায় প্রবাসীদের অবদানকে বিশেষভাবে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশ গড়তে বড় সহায়ক। এছাড়া প্রবাসীরা যে কোনো সঙ্কটে জনমত গড়ে তোলে। তারা আওয়ামী লীগেরও শক্তি। মঙ্গলবার গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা ধরে রাখতে প্রবাসীদের সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন। জনমত সৃষ্টি করেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।

এসময় প্রবাসীদের অর্জিত অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে যুক্ত হতে পারেন। সবার জন্য এ সুবিধা করে দিয়েছি। রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য সব অনলাইন করে দিয়েছি। সহজে এখন টাকা পাঠাতে পারবেন।

সাত জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি যখন ভোট না দেওয়ার জন্য লিফলেট বিতরণ করলো, তখন ঘটনা উল্টো ঘটে গেলো। মানুষ উৎসাহিত হলো এই ভেবে যে, আমাদের ভোট দিতেই হবে।

নারীদের অংশগ্রহণ ছিলো এবারের নির্বাচনে বিশেষ দিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখনও চক্রান্ত শেষ হয়নি। তারা এখনও নির্বাচন বাতিলের চক্রান্ত করছে। জনগণের ভোট নিয়ে আমরা নির্বাচিত হয়েছি, সরকার এসেছি। মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি এক সময় মনে করতো তারা আওয়ামী লীগের সমান সমান। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট নিয়ে ভোট করে মাত্র ২০টা সিট পাওয়ার পর থেকে তারা আর নির্বাচনে আসতে চায় না।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি অফিসে তারাই তালা দেয়, তারাই ভাঙে। তারা বলে চাবি হারিয়েছে, চাবি খোয়া গেছে। চাবিটা গেল কোথায়? তারাই তো তালা দিয়েছে। তাদের চাবি হারাবে, তারাও পথ হারাবে। তারা এখন পথ হারানো পথিক হয়ে গেছে। জানি না তাদের সাংগঠনিক কোনো যোগ্যতা আছে কি না, একটাই আছে আগুন দেওয়া।

তিনি বলেন, নির্বাচন যেন অবাধ-নিরপেক্ষ হয় সেই প্রচেষ্টাই আমাদের ছিল। যার কারণে একের পর এক নির্বাচনে সংস্কার আমরা নিয়ে আসি। কারণ সেনা শাসকরা যখন একের পর এক ক্ষমতা দখল করে তখন তারা নির্বাচনে ভোট কারচুপি করা শুরু করেছিল। সেই জায়গা থেকে মানুষের অধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়ার সেই আন্দোলন-সংগ্রামটাই আমরা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে সরকার জনগণের সেবক। সেই ঘোষণা জাতির পিতা দিয়েছিলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই ঘোষণাটাই দিয়েছি– আমি প্রধানমন্ত্রী না, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করবে, যেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি।তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, যেটা ২০২৪ সালে কার্যকর করার কথা ছিল, সেটা আমরা দুই বছর বাড়িয়ে নিয়েছি। করোনাভাইরাসের অতিমারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এরপর ফিলিস্তিনের ওপর হামলা, শিশু-নারী হাসপাতালে আক্রমণ করা।

ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ বন্ধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এই গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছি। আমরা যুদ্ধের পক্ষে না, শান্তির পক্ষে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ না থাকলে উন্নতি হয় না। অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো জঘন্য কাজ নেই। অস্ত্রের টাকা মানবকল্যাণে, শিশু বিকাশে ব্যয় হোক।প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার যখন অশান্ত হলো, তারা আশ্রয় চাইল, আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা যুদ্ধে যাইনি। কারণ আমরা শান্তি চেয়েছি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলার বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমার ছেলের বউ ও মেয়ের কাছে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দিয়েছে। আমি তাদের কাছে মাফ চেয়ে রওয়ানা করেছি মামলা ফেস করতে। আসতেও বাধা দিয়েছে। আমাকে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ফেরত দেয়। সেটি বিশ্বের ১৫৬ পত্রিকায় প্রকাশ হয়। যার কারণে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা পেয়েছিলাম। ওই সময়ে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতারা আমার পাশে ছিলেন। আপনাদের অবদান গণতন্ত্রের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।