• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

হরতালের নির্দেশ হয় লন্ডন থেকে


প্রকাশিত: ৯:২৮ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২৩ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৭ বার

স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে হরতালের নির্দেশ হয়েছে লন্ডন থেকে। যা নিয়ে অস্বস্তিবোধ করেছেন বিএনপি মহাসচিব। গোয়েন্দারা বলছেন, সরকার পতনের অংশ হিসেবে নেওয়া মহাসমাবেশ কর্মসূচি শুরু হওয়া পরে ২৮ অক্টোবর রাজধানী ঢাকায় সহিংসতা চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ সমাবেশস্থলের আশেপাশে হামলা চালানো হয়। নগরীর বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন দেয়া হয়েছে। এ সময় বিএনপির প্রত্যক্ষ হামলায় একজন পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পাশাপাশি ৪১ জন পুলিশ, ২৮ সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

নিজেরা হামলা করে মাঝপথে মহাসমাবেশ পণ্ড করে দেয়ার অভিযোগ তুলে পরের দিন ২৯ অক্টোবর সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। সমাবেশ শেষ করার ঠিক আগ মুহূর্তে হরতালের ডাক দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু হরতাল কর্মসূচি কি পূর্বপরিকল্পিত নাকি বক্তৃতাকালে কারোর নির্দেশ পেয়ে তিনি দিয়েছেন সে নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
হরতাল ঘোষণা করার সময় ধারণকৃত একটি ভিডিওচিত্রে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অপ্রস্তুত আচরণ করতে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগ এবং পুলিশকে প্রতিরোধ করার দায়িত্ব দেশের জনগণের কাঁধে তুলে দিয়ে দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার কথা হ্যান্ডমাইকে বলেন তিনি।

তারপর তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার আসতেসে না’। এই বলে তিনি সভাস্থল ত্যাগ করতে উদ্যত হন। কিন্তু সভামঞ্চে উপস্থিত অন্য নেতা-কর্মীরা তাকে মঞ্চ থেকে নামতে বাধা দেয় এবং তখনই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দিতে চাপ দেন। পেছন ফিরে তিনি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলেও নেতা-কর্মীরা তাকে তখনই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা দিতে বলে এবং আবার হ্যান্ড মাইকের মাইক্রোফোন ধরিয়ে দেয়।
ওই ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, এবার আর যেন কথা খুঁজে পাচ্ছিলেন না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আবারও সভাস্থল ত্যাগ করতে চেয়েও বাধা পেয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিএনপি মহাসচিব। উত্তেজিত অবস্থায় মঞ্চে পেছনে দাঁড়ানো কাউকে তিনি বলেন, তাকে কিছু একটা বলে দেয়ার জন্য।

কথোপকথন শেষ করার পরপরই তিনি আবার সভাকে জানান, তারা ব্রিফিং করে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। সে সঙ্গে তিনি ২৯ অক্টোবর সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন। এরপর সভাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওই ভিডিওচিত্র দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়, হরতাল ঘোষণা করার কোনো পূর্বপ্রস্তুতি তার বা তার দল বিএনপির ছিলো না। বাস পোড়ানো ছাড়া হরতালের মধ্যে বিএনপির উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসূচি চোখেও পড়েনি।

দুই পুলিশ হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুলও রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের নিজ বাসভবনে ছিলেন, সেখান থেকে তাকে আগের দিনে বিএনপির চালানো সহিংসতার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।