• রোববার , ৫ মে ২০২৪

‘এখন থেকে সীমান্তে হত্যার ঘটনা যৌথ তদন্ত করবে বাংলাদেশ-ভারত’


প্রকাশিত: ১:০৭ পিএম, ১৬ মে ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৪ বার

বিশেষ প্রতিবেদক   :    সীমান্তে কেউ হতাহত হলে যৌথভাবে তদন্তে সম্মত হয়েছে বর্ডার গার্ড bgb-bsf-www.jatirkhantha.com.bdবাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার সকালে ছয় দিনব্যাপী ৪২তম মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

ঢাকায় পাঁচদিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষে আজ সোমবার সকালে পিলখানার সদর দফতরে এ সংক্রান্ত প্রেসব্রিফিংয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, এখন থেকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডসহ যেকোনো ধরণের ঘটনায় তদন্ত প্রয়োজন হলে যৌথভাবে হবে। আগে দুই পক্ষ দুই ধরনের বক্তব্য দিত। কিন্তু এখন থেকে আর সে রকম কিছু হবে না। যৌথভাবে তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, যে কোনো ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকরাও থাকবেন। তারা তাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবেন। তারা সঠিক বিষয়টি তুলে ধরবেন। চুয়াডাঙ্গায় সজল নামে এক বাংলাদেশি কিশোর বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি প্রধান বলেন, আমরা সব সময়ই সীমান্ত হত্যাকে জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনার নীতিতে বিশ্বাস করি।

এ ধরণের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আশা করছি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। ওই ঘটনায় একজন অফিসারসহ মোট ৭ জনকে সাসপেণ্ড করা হয়েছে। ঘটনায় যৌথ তদন্ত হবে।সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলি নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিএসএফ মহাপরিচালক কেএক শর্মা বলেন, সীমান্তে বারবার আগ্নেয়াস্ত্র  ব্যবহারের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। ভারত থেকে গরু চোরাচালান বন্ধ হলেই সীমান্তে হত্যার ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

আমরা চোরাকারবারীসহ অনেককেই ধরি। গত ৫ মাসে সীমান্তে ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিলেই কেবল গুলির বিষয়টি আসে। এ ব্যতীত বিএসএফ গুলি করে না। এ বিষয়টি কিভাবে আরো শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায় তার বিকল্প চিন্তা চলছে বলে জানান তিনি।