• বৃহস্পতিবার , ৯ মে ২০২৪

অস্থিতিশীল ষড়যন্ত্র চলছে-বসুরহাটে ওবায়দুল কাদের


প্রকাশিত: ১১:৩৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২৩ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩০ বার


নোয়াখালী প্রতিনিধি : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করে ১/১১ এর মতো একটি অস্থিতিশীল সরকারের ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার বিকালে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত পথসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র ও সংবিধানকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে হবে।তিনি বলেন, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা কোনো ভয় পাবেন না। আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। সাহসের সঙ্গে দলে দলে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো বলেছিলো, হাসিনা ও আওয়ামী লীগ পালাবার পথ পাবে না। এখন তারা কোথায়? বিএনপিসহ ৩২দল পালিয়ে গেছে। অলিগলিতেও তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচন বর্জন করে প্রতিরোধ করবে বলে অবরোধ, হরতাল, চোরাই গোপ্তা হামলা ও পুলিশ-আনসার হত্যা করতে পারে তারা। রেলে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা সবই করতে পারে, এরা সবাই ভুয়া।

বিএনপির দাবির উদ্ধৃতি দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বলে তাদের হাজার হাজার লোক কারাগারে। তারা পুলিশ মারে, আনসার হত্যা করে, গাড়িতে আগুন দেয়, ককটেল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এসব করলে তারা জেলে যাবে না কারা জেলে যাবে। জানতে চান ওবায়দুল কাদের।

এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সকলে আচরণবিধি মেনে চলবেন। আচরণবিধি না মানলে এবং ফাউল করলে খবর আছে। ধরা খেলে কারও জন্য তদবির করবো না। আমরা নির্বাচন আচরণবিধির ওপর শ্রদ্ধাশীল। আজকে দেখুন আমার গাড়ীতেও জাতীয় পতাকা নেই। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ ও আমিসহ সিলেটে গিয়েছিলেন, জাতীয় পতাকা ছিল না। সিলেট বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে কোনো সরকারি কর্মকর্তাও ছিল না।

কাদের বলেন, নির্বাচনে বাধা দিলে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিবে বলেছে। নির্বাচনে এখন কারা বাধা দিচ্ছে, কারা আগুন দিচ্ছে, কারা পেট্রোল বোমা মারছে তারা দেখুক।তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন দিয়ে মা-ছেলেসহ ৪ জনকে পুড়িয়ে মেরেছে। এটা কি ফৌজদারি অপরাধ নয়? এসব অপরাধে বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে এবং ধরনের অপরাধে তাদের বিচার হতেই হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন বর্জন করে এবং আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ওদের দণ্ডিত নেতা তারেক সরকারকে ট্যাক্স দিতে নিষেধ করেছে। এ নেতার কথা শুনে এখন ঘোড়াও হাসে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, হাওয়া ভবনের এ অর্থচোরা তারেক কীভাবে জনগণকে বলে ট্যাক্স না দিতে। টেম্স নদীর পাড়ে বসে লম্বা লম্বা কথা না বলে সাহস থাকলে তারেককে দেশে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৭ সালে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে দণ্ডিত হয়ে মুচলেকা দিয়ে বিএনপি নেতা তারেক রহমান লন্ডনে পালিয়ে গিয়েছিল। এখন মা-ছেলে দুজনেই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এরা হলো বিএনপির নেতা। লুটেরা ও টাকা পাচারকারীদের বাংলাদেশের জনগণ নেতা কীভাবে মানবে। প্রশ্ন রাখেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সৈনিক। নাশকতাকারী বা কাউকে ভয় পাই না। একমাত্র আল্লাহকে ভয় করি।উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার কর্মকাণ্ডে কেউ কোনো দুঃখ পেয়ে থাকলে, নিজগুণে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। কারণ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে, তা আমারই ব্যর্থতা।পরে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তৈরি থাকুন, ৭ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা হবে। বিএনপি না থাকলে কি হয়েছে, সারাদেশে ১৮শ ৯৬জন খেলোয়াড় ৭ জানুয়ারি ফাইনাল খেলবে।