রাজনীতির নামে কোনো ধরনের বর্বরতা কঠোর হাতে দমন করা হবে-প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: বিএনপি-জামায়াত জোটের ৯২ দিনের অবরোধে ‘অগ্নি সন্ত্রাসের’ শিকার ৩৭ ব্যক্তির এবং ক্ষতিগ্রস্ত ১৮৫ পরিবহন মালিকদের মাঝে ৮ কোটি ৩৭ লাখেরও বেশি টাকার চেক বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রাজনীতির নামে কোনো ধরনের বর্বরতা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে আবারও জোর দিয়ে বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, জনগণের ক্ষতি করে কিংবা মানুষকে হত্যা করে কেউ রেহাই পাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের ৯২ দিনের অবরোধে ‘অগ্নি সন্ত্রাসের’ শিকার ৩৭ ব্যক্তির এবং ক্ষতিগ্রস্ত ১৮৫ পরিবহন মালিকদের মাঝে ৮ কোটি ৩৭ লাখেরও বেশি টাকার চেক বিতরণের পর প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের ক্ষতিসাধনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছি। কারণ তাদের শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে তারা আবারও একই ঘটনা ঘটাবে।’
চেক বিতরণের পর ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব নয়। আমরা সাধ্যমতো আপনাদের পাশে দাঁড়াতে চাই এবং এই চিন্তা-চেতনা থেকেই সাহায্য-সহায়তার চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থের জন্য জনগণের ক্ষতিসাধন ও জীবন্ত মানুষ পোড়ানোর মতো এমন নৃশংসতা কেউ দেখাতে পারে তা কল্পনাও করা যায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯২ দিনে যে নিষ্ঠুরতা ও তাণ্ডব চালিয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষ অতীতে কখনো দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি রাজনীতি করেন মানুষের সেবা ও কল্যাণের জন্য। কিন্তু যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জনগণ নির্মমতার শিকার হয়, তা আদৌ কোনো রাজনীতি নয়। সেটা মূলত জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
বিএনপি ও জামায়াতের ধ্বংসযজ্ঞ মোকাবিলা ও প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জনগণের সাহসিকতার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের সাহসী ভূমিকা দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ আর এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না। একটি পরিবারের একজনের মৃত্যুতে ওই পরিবারের অনেক ক্ষতি হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। মানুষ স্বাধীনভাবে জীবিকা নির্বাহ করে নিজেদের জীবনযাত্রা উন্নত করবে, এটাই ছিল সবার কামনা। ‘আমরা কখনোই জনগণের ক্ষতিসাধন বরদাশত করি নাই’ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছে এবং আমি মানুষকে সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিতে চাই।’
জনগণের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক ঘটনা মোকাবিলায় দলমত-নির্বিশেষে সবার সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, স্থানীয় সরকার ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও প্রেস সচিব ইহসানুল করিম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।