• বৃহস্পতিবার , ৭ নভেম্বর ২০২৪

মাথা গরম লতিফ সিদ্দিকীর কি বিচার হবে!


প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ২৩ আগস্ট ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৩ বার

প্রিয়া llllllllllllllllllরহমান.ঢাকা:  মাথা গরম লতিফ সিদ্দিকীর কি বিচার হবে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।এদিকে লতিফ সিদ্দিকী লতিফ সিদ্দিকীর জাতীয় সংসদের সদস্যপদ বাতিলের বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শুনানি চলছে।
এর আগে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার নিয়ে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তা বহাল রেখেছেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে লতিফ সিদ্দিকীর আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত কোনো আদেশ (নো অর্ডার) দেননি।এদিকে শুনানি মুলতবির জন্য লতিফ সিদ্দিকীর করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন নির্বাচন কমিশন। এর ফলে আগামী দুই সপ্তাহ শুনানি মুলতবি থাকবে।লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ পদ থাকা না থাকা নিয়ে আজ রোববার নির্বাচন কমিশনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে অংশ নেন লতিফ সিদ্দিকী। শুনানি থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘খুব শিগগির পদত্যাগ করছি সংসদ থেকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নেত্রী চান না বিষয়টি নিয়ে আমি আর বাড়াবাড়ি করি।’আইনি লড়াই না চালিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সংসদ সদস্য লতিফ সিদ্দিকী। তার এ পদ বাতিলের শুনানিতে অংশ নিতে রোববার সকালে নির্বাচন কমিশনে তিনি নিজেই উপস্থিত হন।খুব শিগগিরই তিনি পদত্যাগ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।সকাল ১১টায় ইসির সম্মেলন কেন্দ্রে লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ থাকবে কিনা তা নিয়ে শুনানি শুরু হয়।

গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট লতিফ সিদ্দিকীর করা রিট আবেদন খারিজ করে দেন। ওই দিনই লতিফ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে যান। চেম্বার আদালত ওই আবেদন শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য রেখেছিলেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে মন্তব্য করায় লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিত্ব যায়। একই সঙ্গে নিজ দল আওয়ামী লীগ থেকে তিনি বহিষ্কৃত হন। দল থেকে বহিষ্কারের পর লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ থাকবে কি না, তা মীমাংসার জন্য গত ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। নির্বাচন কমিশন আজ এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।

অবশ্য এরই মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে যান। একই সঙ্গে ওই চিঠি কেন অবৈধ ও অকার্যকর ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে রুলের আর্জি জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) ও স্পিকারকে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়।