• বৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর ২০২৪

প্রধান বিচারপতির অভিসংশন চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে এক বিচারপতির চিঠি


প্রকাশিত: ৭:৩১ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৫ বার

Surandro SAmsuddin-www.jatirkhantha.com.bdএস রহমান:    প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার অভিসংশন চেয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। প্রধান বিচারপতির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর মধ্যে চারদফা চিঠি চালাচালির পর বিচারপতি চৌধুরী আজ রাষ্ট্রপতির কাছে এই চিঠি লিখেছেন। আগামী ০১/১০/২০১৫ তারিখে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্র প্রক্রিয়াকরণের জন্য অবসরে যাওয়ার আগেই নিষ্পত্তি হওয়া মামলাগুলোর রায়ে সই করতে  প্রধান বিচারপতির পক্ষে চিঠি লিখেছিলেন রেজিস্ট্রার জেনারেল। উত্তরে বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী জানান, একজন বিচারক তার কর্মজীবনের শেষদিন পর্যন্ত রায় দেন, তাই অবসরে যাওয়ার আগে সকল রায় লেখা সম্ভব নয়।

উদাহরণ হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকসহ অন্য বিচারপতিদের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, অবসরে যাওয়ার কয়েক বছর পরও বিচারকরা রায় লেখা শেষ করেন। এবং এটা বিশ্বজুড়েই সাধারণ চর্চা।

উত্তরে প্রধান বিচারপতির পক্ষে চিঠিতে রেজিস্ট্রার জেনারেল জানান, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী যেহেতু ব্রিটিশ নাগরিক তাই আশংকা যে তিনি রায় না লিখেই বিদেশে চলে যেতে পারেন।

এর উত্তরে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী এরকম কথায় দুঃখ পাওয়ার কথা জানিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা বিচারক এবং একাত্তরে শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে রাজাকার বিচারকের নৈতিক মানের কথা তুলে ধরেন। এমনকি সব চিঠির কপি তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর কাছে পাঠান।

প্রথম চিঠিতেই বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী জানান, প্রথা ভেঙ্গে শুধু তাকে এভাবে অধিকার বঞ্চিত করার কারণে তিনি প্রয়োজনে সর্বোচ্চ জায়গায় বিচারপ্রার্থী হবেন।

এদিকে  রোববার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিদায় সম্বর্ধনা আয়োজন নিয়ে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবি সমিতির বৈঠক ভণ্ডুল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। সরকার সমর্থক আইনজীবিদের একটি অংশ এই বিচারককে বিদায়ী সম্বর্ধনা দেয়ার জন্য বৈঠক ডাকলে বিএনপি পন্থী সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবি সমিতির নেতারা এতে বাধা দেন। তারা আইনজীবি এমইউ আহমেদ হত্যার জন্য বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে দায়ী করে বিরোধীতা করলে সভাটি ভন্ডুল হয়ে যায়।