• শনিবার , ৯ নভেম্বর ২০২৪

শাহজালাল বিমানবন্দরে পায়খানার রাস্তা দিয়ে পেটে গোল্ডবার পাচারকারী রফিকুল পাকরাও


প্রকাশিত: ৯:০৩ পিএম, ৩১ জুলাই ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৬ বার

gold bar-www.jatirkhantha.com.bdএস রহমান.ঢাকা:  এবার পায়খানার রাস্তা দিয়ে পেটের ভেতর সোনা রেখে তা পাচার করছিল দুবাই কেন্দ্রিক গোল্ড স্মাগলার কাজী রফিকুল ইসলাম (৩৮)। কিন্তু ঢাকা কাস্টম হাউজ কমিশনার লুৎফর রহমানের নির্দেশে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কড়া নজরদারির কারণে ধরা পড়ে যায় সে।হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা ওই যাত্রীর পেটের ভেতর পাওয়া গেছে ছয়টি সোনার বার।দীর্ঘ চেষ্টার পর আজ শুক্রবার কাজী রফিকুল ইসলাম (৩৮) নামের ওই যাত্রীর শরীরের ভেতর থেকে এসব সোনার বার উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টম হাউজের কর্মকর্তারা।শুল্ক কর্মকর্তারা জানান, রফিকুলের কাছ থেকে ছয়টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এসব বারের মোট ওজন ৭০০ গ্রাম। মূল্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ফ্লাই দুবাইয়ের gold bar-rafiqul-www.jatirkhantha.com.bdউড়োজাহাজে এফ জেড-৫৮৫ নম্বর ফ্লাইটে করে দুবাই থেকে ঢাকা আসেন রফিকুল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রফিকুলের ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। কিন্তু সোনার বার পাওয়া যায়নি। পরে রফিকুলের কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ বাড়ে শুল্ক কর্মকর্তাদের। যুগ্ম কমিশনার এস এম সোহেল রহমান জাতিরকন্ঠকে জানান,ধরা পড়লেও তার ব্যাগে সোনার বার না পাওয়ায় শুরু হয় শরীর তল্লাশি।কিন্তু সুচতুর রফিকুল সোনার বার রেখেছিল পেটের ভিতর।অগত্যা তাকে নেয়া হয় উত্তরা মেডিকেল সেন্টার নামের একটি ক্লিনিকে।সেখানে পেট এক্সরে করা হলে ধরা পড়ে সোনার বারের অস্তিত্ব ।ডেপুটি কমিশনার রুহুল আমিন জানান, পেটে সোনার বারের অস্তিত্ব পাওয়ার পর রফিকুলকে নানা ধরনের ব্যায়াম করানো হয়।কিন্তু তাতেও সফলতা আসছিল না।পরে রফিকুল নিজের কৌশলে আস্তে আস্তে ব্যায়াম করে পায়খানার রাস্তা দিয়ে সোনার বার গুলো বের করে দেন।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শুল্ক কর্মকর্তাদের রফিকুল জানান, পাচারের জন্য নিজের কৌশলে তাঁর পায়ুপথের ভেতর দিয়ে পাকস্থলীতে সোনার বারগুলো ঢুকিয়ে এনেছিলেন। রফিকুল নিয়মিত বিদেশ যেতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালে।রাতে এ ঘটনায় কাস্টমস প্রিভেনটিভ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তফা জামান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন বিমান বন্দর থানায়।