আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ সিইসি’র
এস রহমান.ঢাকা: সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ।ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগের দিন সোমবার বিকেলে কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে পক্ষপাতিত্ব কমিশন বরদাশত করবে না। সংশ্লিষ্টদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ দিচ্ছি।’
নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়ার পাশাপাশি ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নির্বিঘেœ ভোট দিন।’রকিবউদ্দিন বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে ৪ হাজারেরও অধিক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিককে কার্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক ও স্থানীয় বিপুল সংখ্যক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।’
তিনি আরো বলেন, তিন সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ৪৮ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৪৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮৯১ জন প্রর্থী। মোট ১ হাজার ১’শ ৮৮ জন নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিন সিটিতে প্রায় ৬০ লক্ষ ভোটার। ২ হাজার ৭’শ ১টি ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন। ১৫ হাজার ৫’শ ৪৪টি ভোট কক্ষে এই ভোট গ্রহণ করা হবে আর তার জন্য ৪৯ হজার ৩’শ ৩৩ জন কর্মকর্তা নির্বাচনের দিন দায়িত্ব পালন করবেন। মিডিয়ার প্রতিনিদি বৃন্দ এই নির্বাচনে নিছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। ব্যাপক সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা সদস্য মোতায়ন থাকবে।
ভোট গ্রহণের দিন প্রতিটি সাধারণ ভোট গ্রহণের অভ্যন্তরে নিরাপত্তার বাহিনীর ১০ জন সশস্ত্র সদস্য সহ ২২ জন এবং গ্ররুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১২ জন সশস্ত্র সদস্য সহ ২৪ জন নিরাপত্তা কর্মী দায়িত্ব পালন করবেন। তারা ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া ভোট কেন্দ্রের বাইরে প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের দুটি ও র্যাবের দুটি করে মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক পেট্রলে নিয়োজিত থাকবে। নগরীর স্ট্যাটেজিক পয়েন্টে র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স অবস্থান করবেন। র্যাব পুলিশ ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তিন সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড মোতায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ, আনসার, র্যাব ও বিজিবি মিলিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮০ হাজার সদস্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা মোতায়েনের পরও ভোটারদের মানসিক স্বস্তির জন্য নির্বাচন কমিশন সেনাবহিনী মোতায়ের করেছে। সেনাবাহিনী যাতে অতিদ্রুত ঘটনাস্থলে আসতে পারে জন্য ঢাকা সেনানিবাস, মিরপুর সেনানিবাস, এবং পোস্তাখোলা সেনানিবাসের ভিতরে প্রস্তুত থাকবে।