• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

হিলারির নির্বাচনে বারোটা-অ্যাসাঞ্জের নয়া বুলেট তোপ


প্রকাশিত: ৮:১২ পিএম, ৫ নভেম্বর ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৯ বার

আন্তজার্তিক ডেস্ক রিপোর্টার   :  এবার হিলারির নির্বাচনের বারোটা বাজাতে অ্যাসাঞ্জের নয়া বুলেট তোপ নিয়ে তোলপাড় 12চলছে। অ্যাসাঞ্জের  নয়া বুলেটে বলা হয়েছে, বুলেট ক্লিনটন ফাউন্ডেশন ও আইএসের অর্থদাতারা একই।
আর এ ঘটনা যখন ঘটল তার দু’দিন বাদেই নির্বাচন, ঠিক এমন সময় ক্লিনটনের নির্বাচন প্রচারণার আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।

হিলারি ক্লিনটন ও বিল ক্লিনটনের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে তহবিল জোগানো কাতার ও সৌদি আরবের রাঘল-বোয়াল বণিকরা, আলোচিত জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের পেছনে অর্থ প্রদান করে আসছে বলে দাবি করেছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ।

রুশ সংবাদ মাধ‌্যম রাশিয়ান টুডে’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাসাঞ্জ এ দাবি করেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইনডিপেনডেন্ট। এমনিতেই ওয়েবসাইটটির ফাঁস করা ইমেইল বার্তায় নিয়ে বিপাকে রয়েছেন ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি। তার ওপর এমন খবরে আবারো বিপাকে পড়লেন হিলারি।

টেলিভিশন নেটওয়ার্ক রাশিয়ান টুডের জন্য তথ্যচিত্র নির্মাতা জন পিলগার সেখানেই অ্যাসাঞ্জের সাক্ষাৎকার নেন বলে ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে অ‌্যাসাঞ্জ আরও বলেছেন, এই নির্বাচনে হিলারির পক্ষে নেমেছে সব প্রতিষ্ঠান, রিপাবলিকান প্রার্থীকে জিততে দেওয়া হবে না বলেই তিনি মনে করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক লাখ গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দেন ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ‌্যাসাঞ্জ। সুইডেনে হস্তান্তর এড়াতে ২০১২ সাল থেকে লন্ডনের একুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয়ে রয়েছেন। এছাড়া গোপনতথ্য ফাঁসের অভিযোগে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এমনকি উইকিলিকসের কার্যক্রম নিয়ে অপরাধ তদন্তও চলছে আমেরিকায়।

সম্প্রতি হিলারির নির্বাচনী প্রচার শিবিরের চেয়ারম্যান জন পডেস্টারের কয়েক হাজার ইমেইল ফাঁস হয়। তাতে গোল্ডম্যান সাকসকে অর্থের বিনিময়ে দেওয়া হিলারির বেশ কয়েকটি বক্তব্য এবং মধ্যপ্রাচ্য ও চীন-রাশিয়াকে নিয়ে তার আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশিত হয়।

গত মাসে ওই সিরিজের প্রকাশিত একটি ইমেইলের দিকে ইঙ্গিত করেন অ্যাসাঞ্জ। ফাঁস হওয়া ইমেইলগুলোর মধ্যে এটিকেই ‘সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ’ হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি। ২০১৪ সালে লেখা ওই ইমেইলে দেখা যায়, হিলারি বারাক ওবামার প্রশাসনে কাজ করা পডেস্টাকে সৌদি ও কাতার প্রশাসনকে চাপ দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ওই ইমেইলে বলা হয়, “কূটনৈতিক এবং চিরাচরিত গোয়েন্দা সম্পদ ব্যবহার করে সৌদি ও কাতার সরকারকে চাপ দেওয়া উচিত, যারা আইএসআইএল ও ওই অঞ্চলের অন্যান্য জঙ্গি সুন্নি ইসলামিক গোষ্ঠীকে চোরাগোপ্তা অর্থ ও রসদ সরবরাহ করে আসছে।”

যুক্তরাষ্ট্র সরকার কখনোই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে আইএসের সখ্যের কথা স্বীকার করেনি বলেও জানান অ্যাসাঞ্জ। সেক্ষেত্রে কি মনে করেন যে যাদের অর্থে আইএস গঠিত হয়েছে, তারাই ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে অর্থ জোগাচ্ছে- পিলগারের এই প্রশ্নে অ‌্যাসাঞ্জ বলেন, “হ‌্যাঁ।”

সৌদি সরকার ১৯৯৭ সাল থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রতিষ্ঠিত দাতব্য ফাউন্ডেশনে ১০ থেকে ২৫ মিলিয়ন ডলারের সাহায্য দিয়েছে। গত মাসে কাতারের সরকারও বিল ক্লিনটনের জন্মদিনে ওই ফাউন্ডেশনে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

এই অর্থ হিলারির নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে তার বিরোধীরা অভিযোগ করে আসছেন; যদিও ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের মুখপাত্রদের দাবি, ফাউন্ডেশনের অর্থ নিয়ে হিলারি কখনোই জানতে চাননি এবং তার নির্বাচনী প্রচারেও এগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে না। হিলারি যে সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তখন সৌদি আরব ওই ফাউন্ডেশনে কোনো অর্থ দেয়নি বলেও দাবি তাদের।

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ফাঁস হওয়া জন পডেস্টার ইমেইল সিরিজ হিলারির জনপ্রিয়তায় ধস নামিয়েছে। এর আগে ট্রাম্পের তুলনায় অনেকদূর এগিয়ে ছিলেন এ ডেমোক্রেট প্রার্থী । রাশিয়ার যোগসাজশে অ্যাসাঞ্জ ট্রাম্পকে জেতাতে ডেমোক্রেট প্রার্থীর বিপক্ষে ষড়যন্ত্রে জড়িত বলে হিলারি সমর্থকরা বেশ কয়েকমাস ধরে দাবি করে আসছে। তবে অ্যাসাঞ্জ এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।