• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কি আছে ভারত-বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা চুক্তিতে-


প্রকাশিত: ৫:২৫ পিএম, ৮ এপ্রিল ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬২ বার

ডেস্ক রিপোর্টার  :  সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে ppদুই দেশের মধ্যে দুটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই দুটি এমওইউ বা সমঝোতা-স্মারকের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর Hasina Modi-www.jatirkhantha.com.bdকরে। এর একটি দু’দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে একটা নির্দিষ্ট কাঠামোর ভেতর নিয়ে আসবে। আর অন্যটি হবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনাকাটা সংক্রান্ত।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে কোনও প্রতিরক্ষা চুক্তি বা সমঝোতা নিয়ে- বরা হচ্ছিল চুক্তি হলেও তা কী আকারে হবে।

এ সম্পর্কে ভারতের বাংলাদেশ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন বলেন, এর ফ্রেমওয়ার্ক হচ্ছে দুদেশের ভেতরে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে পরবর্তী কয়েক বছরের জন্য একটা নির্দিষ্ট কাঠামোর ভেতর নিয়ে আসা। তবে এটার মেয়াদ ২৫ বছর নয় – কিন্তু পাঁচ বছর পর পর সাধারণত এই সমঝোতা-স্মারকগুলো আপনি আপনি নবায়ন হয়ে যায়। এই দুটি প্রতিরক্ষা এমওইউ-তে রয়েছে-

বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যে ধরনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আছে এবং আগামী দিনেও যেটাকে আমরা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, তার একটা ফ্রেমওয়ার্ক বা কাঠামো থাকবে এই সমঝোতায়। প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা বা রিসার্চ-ডেভেলপমেন্ট, প্রতিরক্ষা রসদ সরবরাহেরও অবকাশ থাকবে সেখানে।

আর দ্বিতীয় যে সমঝোতাটা হচ্ছে তার লক্ষ্য হল বাংলাদেশ যাতে তাদের প্রতিরক্ষার প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু কিছু সরঞ্জাম ভারত থেকে কিনতে পারে, সেটা নিশ্চিত করা। প্রতিরক্ষা খাতে এটাকে দু’দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবেই দেখছেন পর্যবেক্ষকরা।

কিন্তু তিস্তার জল ভাগাভাগি নিয়ে এই সফরে যে বড় কোনও ব্রেকথ্রু বা চুক্তির কোনও সম্ভাবনা নেই, ভারত সেটাও আজ স্পষ্ট করে দিয়েছে। মিস রঙ্গনাথনের কথায়, তিস্তা নিয়ে এখনও কাজ চলছে। তিস্তার জল ভাগাভাগি নিয়ে অন্তর্বর্তী সমঝোতাকে একটা চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার জন্য ভারত অনেক আগেই অঙ্গীকার করে রেখেছে।