৭১’র খুনী এনএসআইয়ের ‘ভয়ংকর’ ওয়াহিদ
স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরের ‘ভয়ংকর’ খুনী এনএসআইয়ের সেই ওয়াহিদ এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের খাঁচায়। 
একাত্তরে এই খুনী পাক বাহিনীর হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে পাখির মতো গুলি করে মানুষ মেরেছিলেন। এনএসআইয়ের সাবেক এই ডিজি ওয়াহিদুল হক ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ রংপুর ক্যান্টনমেন্টে ৫/৬শ মানুষকে মেশিনগানের গুলি চালিয়ে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করিয়েছিলেন।ভয়ংকর এই মানবতাবিরোধী অপরাধী খুনী এনএসআই’র সাবেক ডিজিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে এনএসআই’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত ডিজি মো. ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ জাতিরকন্ঠকে জানান, তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, সকাল সাড়ে দশটার দিকে তাকে (ওয়াহিদুল হক) গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করতে আবেদন করি। বিচারপতি আমির হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। এরপর সাড়ে বারোটার দিকে খবর পাই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুবকর সিদ্দিক বলেন, ব্লক- জে, রোড-২/ডি, বাড়ি নং-৩, বারিধারা থেকে ওয়াহিদুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওসি জানান, ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে ২৮ মার্চ ১৯৭১ সালে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে ৫/৬শ মানুষকে মেশিনগানে হত্যার অভিযোগ রয়েছে ।
এনএসআই’র এই সাবেক কর্মকর্তা ১৬ অক্টোবর ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত হন। ১৯৭০ সালের মার্চ মাসে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত সেখানে থেকে বদলি হন পাকিস্তানে। ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানে অবস্থান করে ১৯৭৪ সালে দেশে ফেরেন।
এই বছরের শেষে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। পরে ১৯৭৬ সালে পুলিশ বাহিনীতে এএসপি পদে যোগ দেন। ১৯৯৬-৯৭ সালে তিনি এনএসআই’র ভারপ্রাপ্ত ডিজি ছিলেন। সবশেষ ২০০৫ সালে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে অবসর নেন।
