• বুধবার , ৮ মে ২০২৪

সামিট কর্পোরেশন-বেক্সিমকো থেকে সাড়ে ৪কোটি অনুদান পেল জাগো ফাউন্ডেশন


প্রকাশিত: ৫:১৫ পিএম, ১১ আগস্ট ২১ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৯৭ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : দেশের শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সামিট কর্পোরেশন ও বেক্সিমকো হোল্ডিংস সমাজসেবাধর্মী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান জাগো ফাউন্ডেশনকে যৌথভাবে বার্ষিক সাড়ে চার কোটি টাকার অনুদান প্রদান করেছে। সোমবার (৯ আগস্ট) শিক্ষা কার্যক্রম তরান্বিত করার লক্ষ্যে এ অনুদান প্রদান করা হয়। এ অনুদানের ফলে দেশজুড়ে জাগো ফাউন্ডেশনের আওতায় থাকা চার হাজার শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত হবে। মহামারীকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় টেলিফোন, শর্ট মেসেজিং সার্ভিস এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষা নিশ্চিত করতে এ অর্থ ব্যয় করবে প্রতিষ্ঠানটি। আগামীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে গেলে, অনুদানটি ডিজিটাল স্কুল পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হবে। এই প্রথম বাংলাদেশের দুটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান মিলিত হয়ে এত বড় অংকের অনুদান কোন দেশীয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করল।

সামিট গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে জাগো-এর দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ওয়েব-ভিত্তিক শিক্ষার মডেল হয়ত ভবিষ্যতের পড়াশুনারই মডেল।’
জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘করভি যা ভেবেছে তা আমাদের আগামীতে অনুসরণ আর অনুকরণ করা উচিত। সামিট দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং জাগো-এর এই ইন্টারনেট-ভিত্তিক স্কুলগুলোকে সাহায্য করবার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত। জাগো শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের জন্য ইউনেস্কো বাদশাহ হামাদ বিন ঈসা আল-খলিফা পুরস্কার পেয়েছে, তেমনি তারা নোবেল পুরস্কারের দাবিদার।’

প্রতিটি শিশুর আছে শিক্ষার অধিকার-আছে অধিকার স্কুলে যাওয়ার এবং শেখার। তবে অনেকের জন্য, কোভিড-১৯ মহামারীতে সেই অধিকারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, বলে উল্লেখ করেন বেক্সিমকো গ্রুপের বোর্ডের উপদেষ্টা শায়ান এফ রহমান। তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত, দেশব্যাপী শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা ব্যবহার করে অনেকের জন্য দূরশিক্ষণের সুযোগ তৈরী করতে পেরেছি। বেক্সিমকো এবং সামিটকে সাথে নিয়ে, জাগোর মাধ্যমে চার হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের দূরশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আমরা গর্বিত।’

জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ তার বক্তব্যে বলেন, করোনা মহামারীর ফলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষ করে শিক্ষাখাত। এই বৈশ্বিক মহামারীতে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন একটি মুহুর্তে, বেক্সিমকো এবং সামিট শিক্ষাখাতকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের কর্পোরেট সেক্টরকে সাধারণ মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসতে এটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমি আশা করি যে, এই উদ্যোগ অন্যান্য কর্পোরেটদের এগিয়ে আসতে অনুপ্রাণিত করবে।

এই ঘোষণা উপলক্ষে, জাগো ফাউন্ডেশন একটি ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে যেখানে বেক্সিমকো গ্রুপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, গ্রুপ ডিরেক্টর আজমল কবির ও নির্বাহী পরিচালক বেক্সিমকো গ্রুপ সামিরা জুবেরী হিমিকা এবং সামিট গ্রুপ অফ কোম্পানির পরিচালক ফাদিয়া খান, আজিজা আজিজ খান ও সালমান খান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, জাগোর প্রথম ব্যাচের দুই ছাত্র ফাতেমা ও লেনিন। ভার্চ্যুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নবনিতা চৌধুরী। এই ৩-বছর মেয়াদী মিলিত-অনুদান ব্যবহার করে জাগো আশা করে প্রান্তিক শিশুদের জীবনে একটি টেকসই পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং এটি বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।