• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

‘সাধের লাউ’-রুনা লায়লাকে কে সম্মাননা দিল সিটি ব্যাংক


প্রকাশিত: ১১:২৭ পিএম, ৫ নভেম্বর ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৫ বার

 

 বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেউদ্দিন আহমদের হাত থেকে সম্মাননা নিচ্ছেন রুনা লায়লা

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেউদ্দিন আহমদের হাত থেকে সম্মাননা নিচ্ছেন রুনা লায়লা

বিনোদন রিপোর্টার : ‘সাধের লাউ’-রুনা লায়লাকে কে সম্মাননা দিল সিটি ব্যাংক । পুরস্কার নিতে গিয়ে রুনা লায়লা সাধের লাই এর গল্প বললেন। রুনা লায়লা ভারতে গিয়ে রুনা লায়লা প্রথম গাইলেন ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’ গানটি। ১৯৭৪ সালের কথা, গানটি রেকর্ড করল ইএমআই। অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেল সেটি।

কিছুদিন পরে তিনি আবারও গেলেন কলকাতা। অভিবাসন কর্মকর্তা শিল্পীর পাসপোর্টটি নিয়ে অনেকক্ষণ নাড়াচাড়া করে বলেছিলেন, ‘runa-www-jatirkhantha-com-bdআপনি কি সেই সাধের লাউ?’ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংগীতজীবনের এ মজার গল্পটি ভাগাভাগি করেন রুনা লায়লা।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি তারকা হোটেলে ছিল রুনা লায়লাকে সংবর্ধনা জানানোর আয়োজন। আড়ম্বরপূর্ণ সেই অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে সিটি ব্যাংক এনএ-এ প্রবর্তিত ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’-এর সম্মাননা তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেউদ্দিন আহমদ। সম্মানীর ক্রেস্ট ছাড়াও ছিল চেক ও চিত্রকর গোলাম ফারুকের আঁকা শিল্পীর প্রতিকৃতি।

অনুষ্ঠানে গান শোনান রুনা লায়লা, নানা রসিকতাচ্ছলে শোনান নিজের সংগীতজীবনের নানা গল্প। মিলনায়তনে উপস্থিত অনেকেই জানতেন না তাঁর সেসব মজার কাহিনিগুলো। ভক্তদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে রুনা বলেন, ‘এই জীবনে runa-2www-jatirkhantha-com-bdঅনেক পুরস্কার পেয়েছি। তবে সবচেয়ে বড় পুরস্কার মানুষের ভালোবাসা। আর আজ যে সম্মাননা পেলাম তার গুরুত্ব আছে। আর ১১ দিন পর ১৭ নভেম্বর আমার জন্মদিন। এই পুরস্কারের মধ্য দিয়ে জন্মদিনের উপহারটাও পেয়ে গেলাম।’

নিয়মিত ‘গানে গানে গুণীজন সংবর্ধনা’র আয়োজন করে আসছে সিটি ব্যাংক এনএ। আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ মাকসুদ। অনুষ্ঠানে রুনা লায়লাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বক্তব্য দেন বরেণ্য শিল্পী ফেরদৌসী রহমান ও সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। ফেরদৌসী রহমান বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে কিশোরী থাকাকালীন এই শিল্পী সঙ্গে আমার পরিচয়। তাঁর মতো শিল্পী একদিনে তৈরি হয়নি। ভিত্তিটা মজবুত ছিল বলেই আজও সমান তালে গেয়ে যাচ্ছেন তিনি।’

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রুনা লায়লাকে কণ্ঠ নি​বেদন করে গান শোনান তরুণ শিল্পী কোনাল। রুনা লায়লার ‘ও আমার বাংলাদেশ’, ‘আমার মন বলে তুমি আসবে’, ‘সুখ তুমি কি বড় জানতে ইচ্ছে করে’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘বাড়ির মানুষ কয় আমায় তাবিজ করেছে’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম’ ও ‘শিল্পী আমি তোমাদের গান শোনাব’ গানগুলো একে একে গেয়ে শোনান কণ্ঠশিল্পী কোনাল।

তিনি ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িত গেলাম’ গাওয়ার সময় রুনা লায়লা আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে কোনালের সঙ্গে গানটি গাইতে শুরু করেন। বক্তব্য দেওয়ার সময় রসিক রুনা লায়লা বলছিলেন, ‘সিটি ব্যাংক আমার আগে আরও অনেক শিল্পীকে এ সম্মাননা দিয়েছে। মনে হয় তারা আমার সংগীতজীবনের ৫০ বছর পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায় ছিল।’