• শনিবার , ৪ মে ২০২৪

শাহজালালে এবার গোয়েন্দা রোবট পাকরাও


প্রকাশিত: ২:০০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৪ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :   রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দরে এবার গোয়েন্দা রোবট পাকরাও হয়েছে। এই রোবট দিয়ে robot-www-jatirkhantha-cm-bdগোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো সম্ভব। এই রোবট আমদানিকারক হেলথ রোবট বললেও স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিটিআরসির অনুমতি নেয়নি।এগুলো খেলনা ও কমপিউটার সামগ্রী হিসেবে খালাসের চেষ্টা করা হয়েছিল।

শুল্ক গোয়েন্দারা জাতিরকন্ঠকে জানায়, ১৫ কেজি ওজনের বিশেষ একটি হেলথ কেয়ার রোবট এর সঙ্গে গোয়েন্দা ও নেটওয়ার্কিং সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।আজ সোমবার বিমানবন্দরে এগুলো জব্দ করা হয়। চালানটি গত ৮ সেপ্টেম্বর চীন থেকে ঢাকায় নামে। সেদিনই এটি আটক করা হয়। পরীক্ষার পর আজ এগুলো জব্দ করা হয়।

চালানের ভেতরে ১৫ কেজি ওজনের একটি হেলথ কেয়ার রোবট, ১২০টি স্মার্ট ওয়াচ (সিম স্লট সংযুক্ত), ১০টি মিনি ডিজিটাল, ২৫টি পেন ক্যামেরা (গোয়েন্দা ডিভাইস), ৬৩টি ইথারনেট সুইস, ২৫টি এন্টিনা, ১৯টি বেজ স্টেশনসহ বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কিং সামগ্রী পাওয়া যায়।নীতি অনুযায়ী ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া রোবট মেডিকেল ডিভাইস হিসেবে এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অনুমোদন ছাড়া নেটওয়ার্কিং ডিভাইস আমদানিযোগ্য নয়।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, পণ্য চালানের বিষয়ে তাঁদের কাছে গোপন খবর ছিল। গত ৮ সেপ্টেম্বর শাহজালালের এয়ারফ্রেইটের এক নম্বর গেট দিয়ে বের করার পর চালানটি সাময়িক আটক করা হয়। এতে ৩২৫ কেজির ২৪টি কার্টন পাওয়া যায়। পরে আজ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে পরীক্ষা করে চালানটি জব্দ করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ আরও জানিয়েছে, রোবটের প্যাকেটে লেখা ছিল ‘হেলথ কেয়ার রোবট’। এতে রিমোট কন্ট্রোলসহ ক্যামেরা ও মিউজিক বক্স সংযুক্ত করা আছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এই রোবট উন্নত দেশে মেডিকেল সেবায় ব্যবহার করা হয়।

তবে এর অপব্যবহার রোধে যেকোনো মেডিকেল ডিভাইস আমদানির পূর্বে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। চালানে এই অনুমতি ছিল না।অন্যদিকে নেটওয়ার্কিং ডিভাইসের ক্ষেত্রে বিটিআরসির অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এসব সামগ্রী ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য।