• রোববার , ৫ মে ২০২৪

মেজাজ-খেলার সৌন্দর্য কেড়ে নিচ্ছে


প্রকাশিত: ১২:৩০ এএম, ২৮ নভেম্বর ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৯ বার

-Shakibনীপা খন্দকার: খেলার সৌন্দর্য কেড়ে নিচ্ছে খেলোয়াড়দের মেজাজ। এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব-এর কাল হলো রংপুর রাইডার্সের। সাকিবের না-থাকা প্রভাব ফেলে খেলায়। কাল রাতেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের রণপরিকল্পনার অনেকটা জুড়ে ছিলেন রংপর রাইডার্স অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সকালে তারা জানল, এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের না-থাকাটা যেকোনো দলের জন্যই স্বস্তির খবর। কুমিল্লাও নিশ্চয় স্বস্তি নিয়েই মাঠে নেমেছিল।

এর প্রভাব দেখা গেল ম্যাচেও। রংপুরকে ৯ উইকেটে হারিয়ে রীতিমতো উড়িয়ে দিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। উইকেটের ব্যবধানে বিপিএলে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বড় জয়। সাকিবের না-থাকা প্রভাব ফেলে অবশ্যই। তবে নিজেদের পারফরম্যান্সই বড় করে দেখতে চাইলেন মাশরাফি, ‘সাকিব না-থাকা মানে প্রতিপক্ষের জন্য স্বস্তিদায়ক। আর যে দলে সে খেলবে, তাদের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে সে সেরা। তবে আজ আমরা যেভাবে খেলছি জয়টা আমাদের পাওনাই ছিল।’

সাকিব-প্রসঙ্গ এখানেই শেষ হচ্ছে না। গত দুই বছরের ব্যবধানে নানা কারণে এ নিয়ে তিনবার নিষিদ্ধ হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। কাল সিলেট সুপার স্টারসের বিপক্ষে আম্পায়ার তানভীর আহমদের সঙ্গে ওভাবে কেন বিতণ্ডায় জড়ালেন, বুঝতে পারছেন না মাশরাফিও, ‘সাকিব এমন নয়। মাঠে সে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অনেকে নিজেকে ধরে রাখতে পারে না।

সাকিবের আগের নিষেধাজ্ঞা ছিল এক রকম। এটা আরেক রকম। সবগুলোই ভিন্ন ভিন্ন। একজন খেলোয়াড় তিন-চার বার এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলে প্রশ্নটা এসে যায়। ব্যক্তিগতভাবে আমিও দ্বিধাগ্রস্ত। তবে নিশ্চিত, সে এগুলো করতে চায় না। মানুষ হিসেবে একেকজনের প্রতিক্রিয়া একেক রকম হয়। ও হয়তো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি এদিন। দুর্ভাগ্য সাকিবের, দুর্ভাগ্য দলের। সেরা খেলোয়াড় নিষিদ্ধ হলে আসলে দলই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’

সাকিব এ থেকে শিক্ষা নেবেন, এমনটাই প্রত্যাশা মাশরাফির, ‘সবকিছুরই নিয়ম আছে। নিয়মের বাইরে গেলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হয়। বড় বড় খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেও এটা হয়েছে। ওই সময় হয়তো নিজের উত্তেজনা ধরে রাখতে পারেনি। মানুষ ভুল থেকে শেখে। আশা করি, সে এখান থেকে দ্রুত ফিরে আসবে।’
কেবল সাকিবই নয়, এবার বিপিএল দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরাই বেশি বিতর্কে জড়াচ্ছেন। মাঠে উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। দুদিন আগে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণে বরিশাল বুলসের পেসার আল আমিনকে জরিমানা করা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। একই অপরাধে সিলেটের পেসার মোহাম্মদ শহীদকে জরিমানা করা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা কেন মেজাজ হারাচ্ছেন, এ প্রসঙ্গে মাশরাফির ব্যাখ্যা, ‘এটা একেকজনের বেলায় একেকরকম হয়। অনেক সময় একটা ভুল আউট না আউট না দিলে, কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে, খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। কাল ম্যাচের এমন পরিস্থিতি ছিল, সাকিবরা ম্যাচটা হারতেও পারত। সেখান থেকে জিতে গেছে। আসলে সবাই মানুষ। যেকোনো কিছু হতে পারে। আজ সাকিবকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুদিন আগে আল আমিন-শহীদকে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। ভুলের জন্যই তো শাস্তি রাখা হয়েছে। ফলে যত এটা কম করা যায়, ততই ভালো।’