• বুধবার , ২২ মে ২০২৪

বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ সাইফউদ্দিন


প্রকাশিত: ১০:২৩ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৪ বার

স্পোর্টস রিপোর্টার : গাজী আশরাফ হোসেনের নির্বাচক কমিটি আজ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল নির্বাচন করে ফেলেছে। বিসিবিকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসিতে পাঠানোর অপেক্ষা। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দলে থাকছেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ ও দীর্ঘ চোট কাটিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজের দলে ফেরা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

আইসিসির বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী আগামীকাল ১ মের মধ্যে ১৫ জনের দল পাঠাতে হবে আইসিসিতে। তবে এই দলে পরিবর্তন আনা যাবে ২৫ মে পর্যন্ত। আর সেই পরিবর্তন বোর্ডগুলো আনতে পারবে বিনা শর্তে। অর্থাৎ ১৫ জনের দলের কেউ চোটে পড়লে তো বটেই, পারফরম্যান্স বা অন্য কোনো কারণেও দলে পরিবর্তন আনা যাবে।

বিসিবির নির্বাচক কমিটি সে কারণেই দেড় বছর পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিনকে দলে রাখার ঝুঁকিটা নিতে চাইছে। সর্বশেষ বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সাইফউদ্দিনকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

তাতে প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারলে ১৫ জনের দলের একজন হয়ে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের বিশ্বকাপের বিমানে ওঠাটা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়।পারফরম্যান্সের সঙ্গে অবশ্যই সাইফউদ্দিনের ফিটনেসেও চোখ থাকবে নির্বাচকদের। হোক টি–টোয়েন্টি ম্যাচ, এত দিন পর মাঠে ফেরা যেকোনো ক্রিকেটারেরই ফিটনেসে জড়তা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।

জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে মাহমুদউল্লাহ যে থাকবেন, সেটা অনেকটা অনুমেয়ই। বিপিএলে ভালো খেলেছেন, সেই ধারা ধরে রেখেছেন ৫০ ওভারের প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেও। গত মাসে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও খেলেছেন ৩১ বলে ৫৪ রানের একটি ইনিংস। সব মিলিয়ে মাহমুদউল্লাহ বিশ্বকাপের ১৫ জনের দলে থাকা নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলেই জানা গেছে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ মে শুরু হতে যাওয়া পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজের অনুশীলন ক্যাম্পের জন্য ১৭ জনের নাম ঘোষণা করেছিল বিসিবি। যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন বলে সাকিব আল হাসান সেই দলে ছিলেন না, আইপিএলে ছিলেন বলে মোস্তাফিজুর রহমানও না। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ওই ১৭ জনের মধ্যে নেই হাসান মাহমুদ ও সৌম্য সরকার।