• রোববার , ৫ মে ২০২৪

বাজেটের লক্ষ্য পূরণে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা নেই: সিপিডি


প্রকাশিত: ১০:১৩ পিএম, ৩ জুন ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৩ বার

স্টাফ রিপোর্টার   :   বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো ড. 1দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে আয় ও ব্যয় কাঠামোর যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে তা অর্জন করা যাবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ তা অর্জনে সুষ্পষ্ট নির্দেশনা বাজেটে পাওয়া যায়নি।

তাছাড়া এজন্য যে কর্মপরিকল্পনা ও রাজনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন তাও দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বাজেটের প্রাক্কলিত আয় ও ব্যয়কে ধনুক ও তীরের সাথে তুলনা করলে এ তীর-ধনুক দিয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যভেদ করা যাবে না।

শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেট পর্যালোচনা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সিপিডির নির্বাহি পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম এবং গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বাজেটের নানা দিক নিয়ে একটি নিবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আগামী অর্থবছরের জন্য সরকার ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য ব্যাক্তি খাতের বিনিয়োগ আগের তুলনায় অন্তত ৮০ হাজার কোটি বাড়াতে হবে। এমনিতেই গত দুই বছর ধরে দেশে ব্যাক্তি খাতের বিনিয়োগ খুব কম। ফলে মানসম্মত কর্মসংস্থান হচ্ছে না।

যতটুকু হচ্ছে তার বেশিরভাগই অনানুষ্ঠানিক খাতে। এ অবস্থায় আগামী অর্থবছরে ৮০ হাজার কোটি টাকার বাড়তি বিনিয়োগ কীভাবে হবে তার কোন রূপরেখা বাজেটে দেয়া হয়নি। বিনিয়োগ সংস্থানের জন্য ব্যাংক ও পুঁজিবাজার বড় ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু এ দুটি খাত বর্তমানে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন করার কথা ছিল, সেগুলোও সম্পন্ন হয়নি। ব্যক্তিখাতের অর্থনৈতিক জোনেও রয়েছে নীতি সহায়তার অভাব।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে বাজেটে নানা প্রাক্কলন করা হলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে তার তুলনায় অনেক কম। প্রাক্কলন ও বাস্তবায়নের এ ঘাটতি পাশ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। ফলে আমাদের বাজেট প্রাক্কলনের বিশ্বাসযোগ্যতা কমে যাচ্ছে। চলতি বছরে দেখা গেছে, ব্যয়ের প্রাক্কলনের সাথে প্রকৃত বাস্তবায়নের ঘাটতি প্রায় ১৯ শতাংশ।

আয় প্রাক্কলনের সাথে প্রকৃত আদায়ের ঘাটতি ২০ শতাংশেরও বেশি। বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে ঘাটতি ৭৫ শতাংশ। এডিপির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ। এভাবে বাজেটের প্রাক্কলন বাস্তবায়ন না হতে থাকলে সবার মনে বাজেটের প্রাক্কলন নিয়ে আস্থা কমে যাবে। সবাই মনে করবে, এরকম প্রাক্কলনতো সব সময়ই হয়।

তাই আরও নিখুঁতভাবে প্রাক্কলন করা দরকার। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, প্রতি বছর সংশোধিত বাজেটকে সামনে রেখে বাজেট প্রাক্কলন করা হয়। তারপরও বাজেটের অনেক অংশই বাস্তবায়ন হয় না। অথচ সংশোধিত বাজেটই বছরশেষে বাস্তবায়ন হয় না। তাই বাজেট পাশ করার পর খুব দ্রুত সংশোধিত বাজেট তৈরি করা প্রয়োজন। সেটা প্রথম ত্রৈমাসিকের মধ্যে হলেই ভালো হয়।