• রোববার , ৫ মে ২০২৪

বাচ্চু’কে হাতকড়া পড়াবে কে!


প্রকাশিত: ৮:৫৮ পিএম, ২ নভেম্বর ১৯ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮৫ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি : বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু’র হাতে কে হাতকড়া পড়াবে? কার এমন বুকের-পাটা!! কাউকেই তোয়াক্কা করছে না সে? সকলকে বুড়ো আঙ্গল দেখালেও সোচ্চার কেবল উচ্চ আদালত। তাই বাচ্চুর সহসাই নিস্তার নেই। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ধরা তাকে পড়তেই হবে।

ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় পঞ্চমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের বছর দেড়েক পর আবার আলোচনায় এসেছেন তিনি। উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে কোনও পদক্ষেপ না নেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। সে সঙ্গে আগামী বৈঠকে দুদকের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদীয় কমিটি।এর আগে হাইকোর্ট তদন্ত কর্মকর্তাদেরও ডেকেছিল। যেদিন কর্মকর্তারা হাইকোর্টে হাজির হন, ওইদিনও বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল দুদক। বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন দুদকের আইনজীবী।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে ওইদিন বিভিন্ন মন্তব্য করে হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ৩০ মে বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৬ মামলায় তদন্তে ধীরগতির কারণে উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট।আদালত এ তদন্তের জন্য সময় বেঁধে দিলেও সেই সময়ে তদন্ত শেষ করে নি দুদক। ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি না করার কারণেও আদালত উষ্মা প্রকাশ করে।

আদালত বলে, এ নিয়ে কত কথা বললাম। এখন লজ্জায় চোখ ঢাকি। মনে হয় কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকি। কেন এত কথা বলেছি। আদেশ দিয়ে তো কোনও লাভ হয় না। মনে হয় ‘উলু বনে মুক্তো’ ছড়ানো হয়েছে।

৫৬ মামলার ৮ তদন্ত ও ২ তদারকির কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হলে ওইদিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করে। এর আগে ২৩ মে বেসিক ব্যাংকের সাবেক ডি এম ডি ফজলুস সোবাহানের জামিন শুনানিকালে হাইকোর্ট তদন্তকারি কর্মকর্তাদের তলব করে।

ফজলুস সোবহানের আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ আদালতে বলেন, ব্যাংক ঋণ দেবে কি দেবে না সেটা তো নির্ধারণ করে বোর্ড। কিন্তু বলা হচ্ছে ফজলুস সোবহান তিনি সহায়তা করেছেন। কী করে তিনি সহায়তা করেছেন? ঋণ যাচাই-বাছাই কমিটির সব নেতিবাচক মূল্যায়ন থাকা সত্ত্বেও তাকে দায়ী করা হচ্ছে। এই অঙ্কের টাকার ঋণ দেয়ার ক্ষমতা ওই ভদ্রলোকের ছিল না।

এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, কিছুই করার ছিল না। যেন ধোয়া তুলসি পাতা। ঋণ প্রস্তাব বাতিল না করে, শাখার সুপারিশে মর্ডগেজ (বন্দকনামা চুক্তি) না রেখেই ঋণ অনুমতি দিয়েছেন।

তখন আদালত বলে, আপনার এই বক্তব্যের সঙ্গে আমাদের কোনও দ্বিমত নাই। সবাই লুটপাট করে খেয়েছে। এফআইআর হচ্ছে না কেন, চার্জশিট দিচ্ছেন না কেন? এ ধরনের মামলায় আড়াই বছর লেগে গেল? তাহলে কেমনে হবে? জবাবে খুরশীদ আলম খান বলেন, আমরা তো চেষ্টা করছি। আদালতের প্রতিটা আদেশের পর প্রত্যেক তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে বসেছি। তদন্ত কর্মকর্তাদের কোনও গাফিলতি নেই।

তখন আদালত বলেন, আপনি তদন্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব নিচ্ছেন? ঋণ যাচাই-বাছাই কমিটির নেতিবাচক সুপারিশ থাকার পর ঋণ দেয়ার কোনও বিধান নাই। আপনি তদন্ত কর্মকর্তাদের সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। চার্জশিট দিচ্ছেন না কেন? নেগেটিভ ফাইন্ডিং থাকার পরও বোর্ড কীভাবে ঋণের অনুমতি দিল? সেই বোর্ডের কাউকে কেন আসামি করা হয় নি?

দুদক আইনজীবী তখন বলেন, দুদক বসে নেই। চিঠি দেয়া হয়েছে প্রত্যেককে। তারপরও কোনও দুর্বলতা আছে কি- না আমরা দেখবো। আজকেই (৩০ মে, ২০১৮) সকাল ১০টা থেকে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমি যতটুকু জানি প্রত্যেকটা বিষয় খতিয়ে দেখতে হচ্ছে। আদালত তখন বলে, আর কতদিন লাগবে খতিয়ে দেখতে? আড়াই-তিন বছর তো হয়ে গেছে।

তখন দুদক আইনজীবী জবাবে বলেন, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ থেকে এ পর্যন্ত আড়াই বছর হয়েছে। এই সময়ে একটি আদেশ ছাড়া আপনাদের প্রত্যেকটি আদেশ, পর্যবেক্ষণ দুদক পালন করেছে। শুধু একটা ছাড়া। সেটা হলো নির্ধারিত সময়ে চার্জশিট দিতে না পারা।

আদালত তখন বলেন, গত আড়াই বছরে ৫৬টি মামলার মধ্যে একটি মামলারও চার্জশিট দিতে পারেন নি। লোকবল সঙ্কট থাকলে তো পাঁচটি মামলা দিয়ে তা ভালোভাবে করতেন। ঋণ যাচাই-বাছাই কমিটি ঋণ অনুমোদন দেয় নি, দিয়েছে বোর্ড। অথচ বোর্ডের কাউকে আসামিই করা হয়নি। বোর্ড সবকিছুর জিম্মাদার।

আদালত আরও বলেন, আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও পিক অ্যান্ড চুজ করেছেন। আমাদের এত পর্যবেক্ষণ, নির্দেশনায় কী হয়েছে? জামিন দিলেও তো সে আদালতের অধীনে থাকবে। একটা লোককে কতবার জিজ্ঞেস করা দরকার? আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা?

এরপর আদালতের প্রশ্নের জবাবে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বলেন, গত বছর তদন্ত শেষ করে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কমিশন থেকে নতুন করে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। এর মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাও বদল হয়েছে। এরপর বেসিক ব্যাংকের তৎকালীন বোর্ডের সকল সদস্যের বক্তব্য নেয়া শেষ হয়েছে। তদন্তের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি।

এ সময় আদালত বলেন, টাকার উৎস খুঁজতে হবে, এটার প্রয়োজন মনে করেন আপনি? টাকার উৎস বের করা সম্ভব না। ক্যাশ টাকা দিয়ে কেউ জায়গা, কেউ গয়না কিনে ফেলেছে। টাকার এই উৎস অনুসন্ধান সম্ভব না। তাহলে দুদক চেয়ারম্যান এবং একজন পরিচালক কিভাবে এ কথা বলেন? আপনাদের এই পারফর্মেন্সে আমরা হতাশ। এখন আমাদের জামিন দিতে হচ্ছে। সব আসামি এক এক করে বের হয়ে যাবে। দুদক পরিচালক ইকবাল তখন বলেন, গত পরশু অনেক ডকুমেন্ট এসেছে।

এ পর্যায়ে আদালত বলেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে বলছেন-এটা কি সেই ছোট গল্পের মতো। শেষ হইয়াও হইলো না শেষ। তদন্তের বিলম্বে আমরা হতাশ। আড়াই বছর হলো এখনও তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেন নি। লোকবলের অভাব থাকলে ৫-৬টি মামলার তদন্ত করতেন। আদালত দুদক পরিচালককে জিজ্ঞেস করে, আপনি কি মনে করেন টাকা আত্মসাৎ হয়েছে? উত্তরে ইকবাল বলেন, হ্যাঁ, আত্মসাৎ হয়েছে। তখন আদালত বলেন, তাহলে ঋণ গ্রহীতাদের গ্রেফতার করছেন না কেন?

জবাবে সৈয়দ ইকবাল হোসেনে বলেন, ঋণ গ্রহীতারা সমানে ঠিকানা পরিবর্তন করেন। যে ঠিকানা আমাদের কাছে অছে সে ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যায় না।আদালত বলে, এ ধরনের ব্যক্তিদের তো বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দেখা যায়। টক শোতে তারা অংশ নেয়। ব্যাংকের এত অর্থ আত্মসাৎ হলো আর সেই ঘটনায় তদন্ত সংস্থা দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করতে না পারায় আমরা হতাশ।

একইদিন (৩০ মে, ২০১৮) বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাচ্চুকে পঞ্চম দফা দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা পৌনে ১টা পর্যন্ত দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের কর্মকর্তারা। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ও বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওইদিন দুদকের তদারকি কর্মকর্তা সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

এর আগে ৭ মে ও ১৫ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলে দুইবারেই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সময় আবেদন করেন বাচ্চু। ৭ মে সময় আবেদন করলে দুদক তাকে ১৫ মে পুনরায় তলব করে। একইভাবে ১৫ মে জিজ্ঞাসাবাদে না এসে চিঠি পাঠিয়ে দুই মাসের সময় আবেদন করে বেসিক ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যান। পরে দুদকের পাঠানো নোটিশে তাকে তলব করা হলে ৩০ মে দুদকে হাজির হয় বাচ্চু।

দুদক সূত্রে তখন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, আবদুল হাই বাচ্চুর অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করা হয়। তার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেন ও অর্থ পাচারের অভিযোগেরও অনুসন্ধান করছে দুদক। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৭ সালের ৪ ও ৬ ডিসেম্বর এবং ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি ও ৮ মার্চ চার দফায় দুদক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় ২৪টি মামলার বিষয়ে বাচ্চুকে তদন্ত কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করে।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ২০১৫ সালের শেষ দিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৭ কর্মকর্তা, ১১ জরিপকারী এবং ৮১ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ ১২৯ জনকে আসামি করা হয়। এরপর বংশাল ও মতিঝিল থানায় আরও দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই দুটি মামলায় অনিয়মের মাধ্যমে ২ হাজার ৬৫ কোটি টাকা ঋণ দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬২টি মামলা করেছে দুদক। তবে কোনও মামলাতেই আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয় নি।

২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে বাচ্চুকে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়ন হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। সে সঙ্গে আগামী বৈঠকে দুদকের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদীয় কমিটি। গত ৩১ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে না থাকলেও বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়টি আলোচনায় আনেন কমিটির সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বৈঠকে বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী অভিযান চলছে। বেসিক ব্যাংকে একটি বড় ঋণ কেলেঙ্কারির আলোচিত ঘটনা ঘটেছে।

উচ্চ আদালত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে কোনও ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ সময় তিনি উচ্চ আদালতের নির্দেশনার তথ্য উপাত্ত কমিটিতে উপস্থাপন করেন। তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য দুদকের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কমিটিতে তলব করার প্রস্তাব করেন। পরে কমিটির আগামী বৈঠকে এ বিষয়টি আলোচ্যসূচিভুক্ত করা এবং দুদক চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়।

বৈঠক শেষে শেখ ফজলে নূর তাপস জাতিরকন্ঠ কে বলেন, উচ্চ আদালতের তিনটি মামলার রায়ে বিষয়টি এসেছে। উচ্চ আদালত মনে করছে বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় আবদুল হাইয়ের সম্পৃক্ততা আছে। এ বিষয়ে আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে। কিন্তু দুদক কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তিনি কমিটিতে বলেছেন, আবদুল হাইকেও আইনের আওতায় আনা উচিত। আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, রায়ের নির্দেশনা পালনে দুদক কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সংসদীয় কমিটি তা জানতে চায়। এ জন্য দুদককে ডাকা হচ্ছে।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতি মামলায় উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকার পরও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিটি এবং পরবর্তী বৈঠকে দুদকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সুপারিশ করা হয়।

‘আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে’র পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যানের জামিনের বিষয়ে হাইকোর্ট অনেক আদেশ দিয়েছেন। সেখান থেকে সংসদীয় কমিটিতে কোন তিনটি আদেশের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে তাতো আমি জানি না। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছি না। এড়াবো কেন?এড়ানোর কী আছে? হাইকোর্টের কী নির্দেশনা, এখন আমি আপনাকে একটা কিছু বললাম, পরে সেটা মিললো না, একটা রায় হয়েছে দেড়-দুই বছর আগে, আড়াই বছর-তিন বিছর আগে। এখন এই বিষয়ে মন্তব্য করি কীভাবে?’