• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

পাওয়ার নাই এক্সেস আছে-


প্রকাশিত: ১০:৪৮ পিএম, ২২ জানুয়ারী ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫ বার


বিজয়ী সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ ভাই শাহজাহান ওমর-

 

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি-১ (কাঁঠালিয়া-রাজাপুর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বলেছেন, আমাদের কোনো পাওয়ার নাই। এমপিদের কোনো পাওয়ার নাই। কিন্তু বড় পাওয়ার আছে, আমাদের একটা এক্সেস (প্রবেশাধিকার) আছে। আমরা যে কোনো সময় রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, আইজিপি, সেনা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সবার সাথে কথা বলতে পারি। আমরা গেলে উনারা এক কাপ চা খাওয়ান, আমাদের কথা শোনেন। আমার এক্সেস আছে। এক্সেস অনেক সময় অনেকে বাড়তি ব্যবহার করে।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিজয়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহজাহান ওমর বলেন, কারও প্রতি আমার ক্ষোভ নাই, কারও প্রতি আমার নালিশ নাই। আপনারা আমার বিরুদ্ধে এমন কোনো রিপোর্ট পাবেন না যাতে আমি সমাজে হেয়প্রতিপন্ন হই। সেভেন্টি সেভেন বয়স হয়েছে। তোমরা বলো নবনির্বাচিত। আরে ভাই আমি তো সেভেন্টি নাইন থেকে এই অঞ্চলের এমপি। সেভেন্টি নাইন, নাইনটি ওয়ান, নাইন্টি সিক্স, দুই হাজার এক। তারপর তো ওয়ান ইলেভেনে নানা সমস্যা। এরপর তো নির্বাচন আর করিনি।

তিনি বলেন, আপনাদের দলে আমি নতুন আসছি। আমার দলবল সব নিয়ে। তাও আমি নির্বাচন করতাম কিনা আমি নিজেও জানতাম না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকে বলেন দস্তখত করেন, আপনি নির্বাচন করবেন? আমি বলি কোথায়? তিনি বলেন, ওই যে এমপিতে। আমি বলি বলেন কি? তিনি বলেন, হয় আপনাকে নির্বাচন করতে হবে, আপনাকে প্রয়োজন। আমি একটা শর্ত দিয়েছি- নেত্রী আপনার তিন ভাই ১৫ তারিখ শহীদ হয়েছে। আপনি যদি আমাকে চতুর্থ ভাই হিসেবে গ্রহণ করেন তাহলে আমি আপনাকে সার্ভিস দেব। তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আপনি আমার চতুর্থ ভাই। এই আমাকে পাঠিয়েছে। আপনাদের সকলের চেষ্টায় নির্বাচিত হয়েছি।

শাহজাহান ওমর বলেন, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও ভালো থাকলে নির্বাচন করতে পারি, নাও করতে পারি। এই বারবার এমপিগিরি করা বড় কষ্ট। রাতে ঘুম আসে না। সবাই হাত মিলাতে চায়, সবাই কথা বলতে চায়। সবাই অন্যায় আবদার করতে চায়। একজনের বিরুদ্ধে আরেক জন নালিশ করতে চায়। এ বড় কঠিন কাজ। এগুলো ইয়াং লোকের দরকার। আমার তো অনেকটা বয়স হয়ে গেছে। আমারে জ্বালাইবেন কম। আর আমি অল্প কথায় অনেক কিছু বুঝি, হেই কেপাসিটি আমার আছে। আমার তো লেখা পড়া আছে না নাই? অনেক লেখাপড়া আছে। আর ৭১ সন থেকে এই অঞ্চলে আমি পরিচিত।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল হক মনির। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নেছার উদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান সিকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খানম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ববি মিতু, থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিমল চন্দ্র সমাদ্দার,

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার, জেলা পরিষদের সদস্য এসএম ফয়জুল আলম সিদ্দিকী, ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশীদ, শিশির দাস, মো. আমিরুল ইসলাম ফোরকান, মো. মাহমুদুল হক নাহিদ, মো. মাহমুদ হোসেন রিপন, মো. মিঠু সিকদার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক মৃধা, শাহজাহান ওমরের ব্যক্তিগত সহকারী ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।