• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

পরকীয়া নারীর দখলনিয়ে লম্পটদের ট্রিপল মার্ডার


প্রকাশিত: ৮:৫৩ পিএম, ২৪ আগস্ট ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৬ বার

শ্রীপুর গাজীপুর থেকে মোস্তফা কামাল প্রধান  : পরকীয়া নারীর দখল নিয়ে লম্পটরা এবার খুন করেছে শিশুসহ ৩ জনকে।পুলিশ জাতিরকন্ঠকে জানায়, শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের পরকীয়ার বিরোধেই দুই নারী ও এক শিশুকে হত্যা করা হয়ে111ছে। এ অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার মাস্টারবাড়ী এলাকা থেকে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার চালা অফিস পাড়ার হাজী আব্দুল মান্নানের ছেলে আল আমীন (৩২), একই জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার মাহাবুবুল আলমের ছেলে নয়ন (২০) ও প্রাইভেটকার চালক জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার পবাহার নোয়াপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (২২)। আল আমীন ও নয়ন শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ী এলাকার রিজভী-মীম-নিশি বস্ত্রালয় অ্যান্ড ফার্নিচার স্টোরের কর্মচারী। রবিউল ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মিজানুর রহমানের প্রাইভেটকারের চালক।

নিহতরা হলেন-শ্রীপুরের টেংরা গ্রামের বাদল মণ্ডলের স্ত্রী নাসরিন মণ্ডল (৩০), হাদিকুলের স্ত্রী মেহেরুন আক্তার (৪৮) ও মেহেরুনের পালিত নাতি শিশু জাইমতি (৪)। নাসরিন মেহেরুনের ভাতিজি।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, গত রোববার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জাইমতিকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে শিশুসহ ওই দুই নারী শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। নাসরিন দুপুর ১টার দিকে তাদের নিয়ে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ির ওই স্টোরে যায়।

স্টোরের কর্মচারী আল আমীন নাসরিনের দ্বিতীয় পরকীয়া প্রেমিক। ওই স্টোরে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আল আমীন এক পর্যায়ে নাসরিনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঘটনা জানাজানির ভয়ে কর্মচারীদের নিয়ে ওই দু’জনকেও শ্বাসরোধে হত্যা করে।

এরপর তিনজনের মৃতদেহ বস্তাবন্দী করে স্টোর মালিক মিজানুর রহমানের প্রাইভেটকারে উঠিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুর থানার খাজা খানজাহান আলী মেডিকেল কলেজের পাশে যমুনা নদীতে ফেলে দেয়। রাতেই তারা শ্রীপুরে ফিরে আসে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, সোমবার সকাল সোয়া ১১টার দিকে যমুনা নদীতে দু’টি বস্তা ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তা দু’টি উদ্ধার করে। একটির ভেতর এক শিশু ও নারী এবং অপর বস্তায় আরেক নারীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদের স্বজনরা সোমবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেন।