• মঙ্গলবার , ২১ মে ২০২৪

কারাগারে কাহিল শফিক রেহমান-তাঁর শরীরে কোন শক্তি নেই


প্রকাশিত: ২:২৭ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬১ বার

 

এস রহমান/হাসানূর রহমান : কারাগারে থেকে কাহিল হয়ে ফিরেছেন সদ্য মুক্ত সাংবাদিক শফিক রেহমান। তাঁর শরীরে s-rahman-www-jatirkhantha-com-bdকোন শক্তি নেই।হুইল চেয়ার বা অন্যর সাহায্য ছাড়া তিনি চলতে পারছেন না। জেল থেকে মুক্তি লাভ করার পর থেকে তিনি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি।

শফিক রেহমানের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো জানায়, কারাগারে থেকে শফিক রেহমান সবচেয়ে বেশি সমস্যাগ্রস্ত হয়েছেন, খাবার-দাবার নিয়ে। সেখানকার খাবার তিনি খেতে পারেননি। সাধারণ ফলমূল খেয়েই তাকে সময় পার করতে হয়েছে। তিনি ডায়াবেটিক রোগী সে অনুযায়ী শারিরীক পরিচর্যা থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন।

এজন্য তার ওজন হ্রাস পেয়েছে অনেক। তিনি যে জামাকাপড় পরিধান করতেন, তা তার দেহে অনেকটাই ঢিলেঢালা হয়ে গেছে। তিনি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছেন যে, একা একা হাঁটতে পারেন না। কোথাও গেলে হুইল চেয়ারের সহায়তা নিতে হচ্ছে।

বুধবার শফিক রেহমানকে বারডেম হাসপাতালের ১০০১ নং কেবিনে গিয়ে দেখা গেছে, অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মুসা। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী- শফিক রেহমানের রক্ত, হার্ট ও বুকের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হবে।

জানা গেছে, শফিক রেহমানের ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যা বহু পুরানা। ১০-১২ বছর পূর্বে লন্ডনের একটি হাসপাতালে তার হৃদপিন্ডে রিং পরানো হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছর সে হাসপাতালে গিয়ে সেটি চেকাপ করতেন তিনি। কিন্তু কারাগারে থাকায় এতে বিরতি পড়ে। এখন তিনি বিদেশে যেতে পারছেন না তার পাসপোর্ট জব্দসহ আরও কিছু জটিলতার কারণে। কাজেই বারডেমে গ্রহণ করতে হবে হার্টের চিকিৎসা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তার তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদকে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার মামলায় গত ১৬ এপ্রিল ঢাকার ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে। ২৭ এপ্রিল তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

গত ৩১ আগস্ট তাকে তিন মাসের জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত মঙ্গলবার গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন তিনি। সেখান থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাকে বারডেমে নিয়ে আসেন।