• রোববার , ১৯ মে ২০২৪

এবার ‘পাঠাও’ রাইডাররা ইয়াবা’য়..


প্রকাশিত: ৬:০০ পিএম, ২৪ জুন ১৮ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৯ বার

স্টাফ রিপোর্টার :   এবার ‘পাঠাও’ রাইডাররা ইয়াবা ব্যবসায় নেমে ধরা পড়েছে। এই চক্রটির সঙ্গে জড়িত ঢাকার প্রভাবশালী Patao ride-www.jatirkhantha.com.bdইয়াবা সিন্ডিকেট। উত্তরা থেকে এই ব্যবসা চালাতো পাঠাও রাইডাররা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্রমাগত অনুসন্ধানে ধরা পড়ে এই চক্রটি।

র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বলেছে, রাজধানীতে মাদক পরিবহনে এবার রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’ রাইডারদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়ে তাদের পাকরাও করা হয়েছে।এই চক্রটি রাইড শেয়ারিংয়ের আড়ালে নির্দিষ্ট গন্তব্যে মাদক পৌঁছে দিচ্ছেন। শনিবার (২৩ জুন) দিনগত রাতে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ‘পাঠাও’ রাইডার রানা আহমেদ ওরফে রাজুসহ (২৫) চার ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৩।

আটক অন্যরা হলেন- ইফতেখারুল ইসলাম (২৫), অলি আহমেদ (২৪) ও মোস্তফা কামাল। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা, ৮টি মোবাইল ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।রোববার (২৪ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এমরানুল হাসান।

তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় রাজধানীতে মাদক ব্যবসায়ী ও বাহকদের চলাচল সীমিত হয়েছে। কিছু মাদক ব্যবসায়ী কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান এনে রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে মজুদ করেছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের সিও এমরানুল জানান, ইফতেখারুল কক্সবাজারের উখিয়া কলেজের বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত উখিয়ার স্থানীয় কিছু যুবকের বিলাসবহুল জীবন-যাপন দেখে ইয়াবা ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ হয় ইফতেখারুল। কারণ, তার ধারণা ইয়াবা ব্যবসায় দ্রুত লাভবান ও বিলাসবহুল জীবন-যাপন করা যায়। ইফতেখারুল নিজে মাদক ব্যবসায় জড়ানোর পাশাপাশি কক্সবাজারের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে স্থানীয় ‍যুবক ও রোহিঙ্গাদের ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন। কক্সবাজার থেকে বহন করে আনা ইয়াবা উত্তরার মাদক ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করার কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন ইফতেখারুল।

এ দিকে আটক অলির বাড়িও কক্সবাজারের উখিয়া থানার রাজাপালং গ্রামে। তিনি উত্তরার ফজিলত প্রোপার্টিজ নামে একটি নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গার্ডের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। অলির নিয়ন্ত্রিত ওই ভবনে কক্সবাজার থেকে আনা ইয়াবা মজুদ রাখা হতো।

মোস্তফা কামাল কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা শরীফ ফার্মাসিউটিক্যালের মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত। মোটা অঙ্কের টাকার লোভে ওষুধ বিপণন ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি তিনি ইয়াবা পরিবহনের কাজেও যুক্ত হয়ে হন। কক্সবাজার থেকে ইয়াবার একটি চালান ঢাকায় পৌঁছে দিতে পারলে তিনি পেতেন ২০ হাজার টাকা।রানা মূলত রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ‘পাঠাও’র একজন রাইডার। তিনি রাইড শেয়ারের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী কাঙ্খিত গন্তব্যে ইয়াবা পৌঁছে দিতেন।

লে. কর্নেল এমরানুল বলেন, কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকার কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর যোগসাজশের তথ্য আমরা পেয়েছি। তাদের নামও জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।কয়েকজন ‘পাঠাও’ চালকদের ইয়াবা পরিবহনের তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়ে এমরানুল বলেন, অভিযুক্তদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে আমরা পাঠাওয়ের সঙ্গে যোগযোগ করবো।