• রোববার , ১৯ মে ২০২৪

ঈদে জালনোট ছড়ানোর ছক নস্যাত


প্রকাশিত: ৪:৪১ এএম, ৯ জুন ১৮ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৪ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  ঈদ টার্গেটে জালনোট ছড়ানোর ছক নস্যাত করে দিয়েছে ডিবি। এ ঘটনায় তারা পাকরাও করেছে jal note-www.jatirkhantha.com.bd - Copy১০ ক্রিমিনালকেও। ডিবি জাতিরকন্ঠকে জানায়, ঈদে আর্থিক লেনদেন বেড়ে যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে
জাল কারবারীরা মাঠে নেমেছিল। পরিকল্পনা ছিল প্রায় পাঁচ কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার’ও।

এরই মধ্যে তারা এক কোটি জাল টাকা ছেপে মজুদও করেছিল। তবে তা বাজারে ছড়ানোর আগেই জব্দ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতার করা হয়েছে চক্রের ১০ সদস্যকে।  রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে চলে এ অভিযান। অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে রফিক, জাকির, হানিফ, রাজন শিকদার ওরফে রাজা ওরফে রাজু, খোকন ওরফে শাওন, রিপন, মনির, সোহরাব, জসিম ও লাবণী।

তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে জাল টাকা তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম। এর মধ্যে রয়েছে- একটি ল্যাপটপ, দুটি কালার প্রিন্টার, এক পৃষ্ঠায় জাল টাকা ছাপানো ১৬টি পাতা, ১০টি স্ক্রিন বোর্ড (এর সাহায্যে জাল নোটে জলছাপ দেওয়া হয়), জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত কালির ২৭টি সাদা কৌটা, কালির আটটি লাল কৌটা, দুটি সাদা প্লাস্টিকের কৌটা, ৩০০টি কালার কার্টিজ ও জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত সুতা তৈরির তিনটি রোল।

শুক্রবার ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য জানান, জাল টাকা তৈরি চক্রের প্রধান রফিক প্রথম জীবনে নোয়াখালীর ছগির মাস্টার নামে এক ব্যক্তির সহযোগী হিসেবে এই কাজে জড়ায়। একপর্যায়ে সে নিজেই কিছু সরঞ্জাম কিনে রাজধানীর পূর্ব জুরাইনের বৌবাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকা তৈরির কার্যক্রম শুরু করে।

এরপর সে দীর্ঘদিন ধরে তার অন্যতম সহযোগী রাজন, লাবণীসহ অন্যদের নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে জাল টাকার ব্যবসা করে আসছিল। জাকির জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহূত বিশেষ ধরনের কাগজে জলছাপ ও নকল নিরাপত্তা সুতা বসানোর কাজ করত।

দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, এক লাখ টাকার জাল নোট তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ১০ হাজার টাকা। তবে পাইকারি বিক্রেতার কাছে তা ১৪/১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। পাইকারি বিক্রেতা খুচরা বিক্রেতার কাছে ২০-২৫ হাজার টাকা এবং খুচরা বিক্রেতা অন্য বিক্রেতার কাছে ৪০-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। সেই বিক্রেতা সমান দামে বা এক লাখ টাকা হিসেবে বাজারজাত করে। তারা মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে বিক্রেতাকে এসব জাল নোট দেওয়ার মাধ্যমে টাকা বাজারে ছড়িয়ে দেয়।

ডিবি সূত্র জানায়, চক্রটির সদস্যদের মধ্যে লাবণী ছাড়া সবাই একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে। তবে জামিনে বেরিয়ে তারা ফের একই কারবারে জড়িয়ে পড়ে। রফিক ও জাকির মূলত চক্রটির প্রধান নিয়ন্ত্রক। জাকির জাল টাকা তৈরির কারিগরি অংশটি দেখাশোনা করে। লাবণী ও রাজু স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে জুরাইনের বৌবাজারে বাসা ভাড়া নেওয়ার পর সেখানে জাল টাকার কারবার শুরু করে। জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত নিরাপত্তা সুতা চক্রটি কোথায় থেকে সংগ্রহ করে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রয়োজনীয় তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।