• রোববার , ৫ মে ২০২৪

আইসিসির গোড়াতেই দুর্নীতির ডিপো-বিক্ষুদ্ধ সারা বাংলাদেশ-বিতর্কিত আম্পায়ারদের আগলে রাখার চেষ্টা


প্রকাশিত: ১০:১৬ পিএম, ২০ মার্চ ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪২ বার

Corapted ampeare-www.jatirkhantha.com.bdঅনলাইন ডেস্ক রিপোর্টার:

বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্রিকেট দুনিয়ায়। আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা বাংলাদেশ।

তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষোভ ঝেড়েছেন খোদ আইসিসির সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালও। তবে আইসিসি সভাপতির মন্তব্য ও অভিযোগকে ‘দুঃখজনক’, ‘ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন একই সংস্থার প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন।

বিষয়টি তো এখন গোলমালের পর্যায়েই চলে গেল। কোনো সংস্থার সভাপতির মন্তব্যে যখন সেই সংস্থারই প্রধান নির্বাহী প্রতিক্রিয়া দেখান, তখন গোলমালটা কিন্তু বেশ স্পষ্টই হয়ে ওঠে। একজন আম্পায়ারদের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আরেকজন সেই বিতর্কিত আম্পায়ারদের আগলে রাখার চেষ্টা করছেন! এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিচার্ডসন বলেছেন, ‘আইসিসি জনাব মুস্তাফা কামালের মন্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে। ওনার বক্তব্য খুবই দুঃখজনক। হতে পারে এটি তাঁর ব্যক্তিগত মত, কিন্তু আইসিসির সভাপতি হিসেবে ম্যাচ অফিশিয়ালদের সমালোচনা করার ক্ষেত্রে তাঁর আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল। কারণ, তাঁদের সততা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ’

রুবেল হোসেনের বলে রোহিত শর্মা আউট হলেও সেই বলটি ‘নো বল’ ডেকে সমালোচনার মুখে পড়েছেন দুই আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড ও আলিম দার। বলটির উচ্চতা কোমরের বেশি ছিল কি ছিল না, এ নিয়ে যখন বিতর্ক, আইসিসির প্রধান নির্বাহী তখন সিদ্ধান্তটিকে ‘৫০: ৫০’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তিনি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘নো বলের সিদ্ধান্ত ছিল ৫০: ৫০ সম্ভাবনা। খেলাটার চেতনা বলে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং সেটাকে সম্মান করা উচিত। ’
ম্যাচের আম্পায়ারিংকে ‘বাজে আম্পায়ারিং’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছিলেন, ‘অনেক সিদ্ধান্তই ভুলভাবে বাংলাদেশের বিপক্ষে গেছে। তবে সেটা ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত, তা আমি জানি না। ’

আইসিসি সভাপতির এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রিচার্ডসন বললেন, ‘ম্যাচ অফিশিয়ালদের ‘‘অ্যাজেন্ডা’’ ছিল কিংবা তাদের সামর্থ্যের বাইরে অন্য কিছু করেছে, এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। ’
ওদিকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব অনুরাগ ঠাকুর বলেছেন, ‘আমার মতে,

তিনি (মুস্তফা কামাল) এসব ব্যাপার আইসিসি সভায় তুলতে পারতেন। বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতেছি। লিগ পর্বেও ভারত সবগুলো ম্যাচ জিতেছে। এখন সময় সামনে তাকানোর…পরের সভায় (আইসিসি) এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক করব। ’

আইসিসিতে ভারতের প্রভাব ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে-এমন অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী ও বিসিবির সাবেক সভাপতি মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘আমি “ইন্ডিয়ান” ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি না। কেউ যদি এমন ফল আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়, কেউ তা মেনে নিতে পারে না। ’ তথ্যসূত্র: এএফপি, রয়টার্স ও আইসিসি-ক্রিকেটডটকম।