• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

১৪ কেজি সোনা পাচারে জড়িত বিমানের এমরানুল-ওসমান-


প্রকাশিত: ১০:৪৬ পিএম, ১৫ জানুয়ারী ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৪ বার

 

বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: BIMAN-cargo-www.jatirkhantha.com.bdশাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক ১৪ কেজি সোনা পাচারের সঙ্গেও বিমানের দুই কর্মচারী জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তাঁদের দাবি, বিমানের প্রকৌশল বিভাগের মেকানিক এমরানুল ইসলাম ও ওসমান গনি এ কাজে জড়িত।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এই দুজনকে আসামি করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করেছেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আবুল হোসেন।
|biman gold crimer-www.jatirkhantha.com.bd
গতকাল বুধবার যৌথ অভিযানে বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৭৭-২০০ উড়োজাহাজের কার্গোহোল থেকে ১২০টি সোনার বার উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর ও ঢাকা কাস্টমস হাউস। উড়োজাহাজটি দুবাই থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুপুর ১২টায় ঢাকায় আসে। চার ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে কার্গোহোলে কালো কাপড়ের ভেতর থেকে সোনার প্যাকেটটি উদ্ধার করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দাদের ধারণা, বিমানের কর্মীদের সহায়তা ছাড়া এসব সোনা উড়োজাহাজের কার্গোহোলের ভেতরে রাখা সম্ভব নয়। উড়োজাহাজটি যখন ঢাকায় অবতরণ করে, সে সময় বিমানবন্দরে ‘বি’ শিফটের কাজ চলছিল। বিমানটি হ্যাঙ্গারে নিয়ে সোনার চালান বিমানবন্দরের বাইরে পাচার করা হতো বলে ধারণা গোয়েন্দাদের। শুল্ক কর্তৃপক্ষের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে এমরানুল ও ওসমান গনি দুজনই গা ঢাকা দেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিমানের বি সিফটের সব কর্মকর্তাকে হাজির করা হলেও এই দুজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

gold--www.jatirkhantha.com.bdএর পর গভীর রাত পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দর ঘেরাও করে এমরানুল ও ওসমানকে আটক করতে অভিযান চালানো হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাইনুল খান বলেন, ‘গতকাল অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে এমরানুল ও ওসমান পালিয়ে যান। এ ক্ষেত্রেও এই দুজনকে কেউ না কেউ সহায়তা করেছেন।’
মাইনুল খান জানান, আজ বৃহস্পতিবারও এরা অফিস করতে আসেননি। মোবাইল ফোন গতকাল বুধবার থেকেই বন্ধ রয়েছে। ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল ১০৫ কেজি সোনা পাচারের সঙ্গে এমরানুল এবং ২০১৩ সালের ২৪ জুলাই আটক ১২৪ কেজি সোনা পাচারে সঙ্গে ওসমান গনির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বড় এই দুটি চালানই বাংলাদেশ বিমানের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্রেও এই দুটি সোনা পাচারের সঙ্গে এমরানুল ও ওসমান গণির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানা গেছে।
১০৫ কেজি সোনা পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর জাতীয় পতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমানের চিফ ক্যাপ্টেন আবু মোহাম্মদ আসলাম শহীদ, বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক এমদাদ হোসেন, ব্যবস্থাপক (শিডিউল) তোজাম্মেল হোসেন, উত্তরার ফারহান মানি এক্সচেঞ্জের মালিক হারুন অর রশিদ ও বিমানের ঠিকাদার মাহমুদুল হক পলাশকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।