• শুক্রবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াত ৪ সচিবকে শোকজ নোটিশ: ক্ষুদ্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


প্রকাশিত: ৮:৩৯ পিএম, ১৩ অক্টোবর ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪১ বার

 

4+Secyb-www.jatirkhantha.com.bdপ্রিয়া রহমান.ঢাকা:  মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াত ৪ সচিব অবশেষে সাইজ হচ্ছেন।তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।চার সচিবের মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির ঘটনায় খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং ক্ষুদ্ধ।চার সচিবের সাইজ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে তিনি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল হওয়া তিন সচিব ও এক যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আর একই অভিযোগ ওঠা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে। তাঁর সনদও বাতিল করা হলেও পরে তা স্থগিত করা হয়।Muktizodda sanod-www.jatirkhantha.com.bd

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন।  সন্ধ্যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চার সচিবের বিষয়ে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।কারণ দর্শানোর নোটিশ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী  বলেন, প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা অনুযায়ী এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সনদ বাতিল হওয়া এই চার সচিব হলেন স্বাস্থ্যসচিব মো. নিয়াজ উদ্দিন মিঞা, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব এ কে এম আমির হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী (বর্তমানে ওএসডি) এবং একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (ওএসডি) আবুল কাসেম তালুকদার।
আর মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট প্রাথমিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় বেসরকারীকরণ কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।

 

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, চাকরিতে যোগদানের সময়ই নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দিতে হয়। কিন্তু শীর্ষ এই কর্মকর্তারা চাকরির শেষ সময় এসে নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করে সনদ নিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলেছে, প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকর্তারা মুক্তিযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন। তাঁরা সরকারি নির্দেশনা, পরিপত্র ও আইন অমান্য করে অসদাচরণ করেছেন।

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণিত হওয়ায় দুদকের সুপারিশ মেনে ওই পাঁচজনের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হলেও পরে মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও গেজেট প্রাথমিকভাবে স্থগিত করা হয়।