• মঙ্গলবার , ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রধান বিচারপতির অপসারণ দাবি খাদ্যমন্ত্রীর


প্রকাশিত: ১২:৩৫ পিএম, ১১ আগস্ট ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৯ বার

কোর্ট রিপোর্টার  :  প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার অপসারণ দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, তার যদি নৈতিকkamrul-www.jatirkhantha.com.bdতা থাকে তাহলে স্বেচ্ছায় চলে যাবেন।

না হলে আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন। আগামী সেপ্টেম্বরে আইনজীবীরা আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সমিতি ভবনের জিল্লুর রহমান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য কাজী নজিব উল্লাহ হিরু প্রমুখ।

খাদ্যমন্ত্রী বিচারপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তার (প্রধান বিচারপতি) যদি সামান্যতম জ্ঞান ও  বুঝ থাকে, তাহলে তিনি স্বেচ্ছায় চলে যাবেন। বিএনপির সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, বিএনপির সুরে কথা বলে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের সঙ্গে আঁতাত করে বেশিদিন এ মসনদে থাকতে পারবেন না। এখন আর চোখ বুজে থাকার সুযোগ নেই। এখন কারও রক্ত চক্ষু সহ্য করব না। অবশ্যই আমরা তার অপসারণ চাই।’

এ সময় তিনি ষোড়শ সংশোধনীর পর্যবেক্ষণ বিষয়ে বলেন, ‘আপনার ওপরে কে আছর করেছে? ড. কামাল হোসেন, শাহদীন মালিক, আসিফ নজরুল কারা আছর করেছে আপনার মাথায়? কাদের নির্দেশে, কাদের ড্রাফট (খসড়া) করা থেকে এই পর্যবেক্ষণের অংশটুকু আমরা বুঝতে পারছি না। আপনি আমাদের উসকে দিচ্ছেন। আবার রাজনীতি না করার জন্য বলছেন।’

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির জনককে যখন কেউ খাটো করে দেখার চেষ্টা করে, মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করে, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করে, আমাদের আদর্শের বিরুদ্ধে  কথা বলে, দেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলে, গণতন্ত্র হত্যায় পরোক্ষভাবে যদি কেউ ষড়যন্ত্র করে, তাহলে  তার বিরুদ্ধে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে কথা বলার অধিকার আমার অবশ্যই আছে।’

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ষোড়শ সংশোধনীর রায় প্রসঙ্গে বিচারকদের ব্যাপারে সংসদে থাকা প্রক্রিয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘ভাবখানা এই পার্লামেন্টে যদি জজের বিরুদ্ধে কোনো কমপ্লেইন (অভিযোগ) যেত, তাহলেই তিনি বহিষ্কৃত হতেন তা নয়। সেখানে কী ছিল? সেখানে ছিল কমপ্লেইন (অভিযোগ) দেয়ার পর তদন্ত কমিটি হবে। সেই তদন্ত কমিটিতে বাইরের লোক থাকারও প্রভিশন (বিধান) রাখা হয়েছিল।

সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট (প্রতিবেদন) যদি সঠিক হয়, পার্লামেন্ট সদস্যরা যদি সন্তুষ্ট হন, তাহলেই বিচারের ব্যবস্থা করা হতো। একতরফাভাবে কোনো কিছু পার্লামেন্টে গেলেই শুধু পাস করে দেয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের অর্বাচীন বলা হয়। তো সেই অর্বাচীন দ্বারা নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, সেই রাষ্ট্রপতি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি কী হয়? এই কথা আমি ওনার ওপরই ছেড়ে দিলাম।’

ষোড়শ সংশোধনী বিষয়ে বিশেষ অতিথি আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার বলেন, ‘আমাদের বিচারকরা যা বলতে চেয়েছেন, আমি সামান্যতম বুঝেছি।তার সঙ্গে আমাদের কিছু বিশেষজ্ঞও বিচারকদের সঙ্গে সায় দিয়েছেন। আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলি, তাদের বানানো হয়েছিল অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু)।

আমরা আশা করেছিলাম, তারা পক্ষে-বিপক্ষে সব পথে আরগুমেন্ট (যুক্তি-তর্ক) করবেন। দুর্ভাগ্যের বিষয়, তারা এগুলো বলেননি। আর জজ সাহেবরা যে রায় দিয়েছেন, সেই রায়ের মধ্যে কতগুলো অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেছেন আমাদের বিচারকরা। তাতে আজ জাতি অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ।’