• বুধবার , ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ছাত্রীদের মোবাইল দিয়ে সেক্স ম্যাসেজ পাঠিয়ে শিকার ধরতেন ফেরদৌস


প্রকাশিত: ১:০৬ এএম, ৮ মে ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৮ বার

সাইফুল বারী মাসুম   :    ছাত্রীদের মোবাইল দিয়ে সেক্স ম্যাসেজ পাঠিয়ে শিকার ধরতেন 22ফেরদৌস।এরপর ছাত্রীদের তার ফ্ল্যাটে যেতে বাধ্য করে নিজের যৌণলালসা মেটাতেন।যারা তার  কথার অবাধ্য হতো তাদের এজন্য মূল্য দিতে হতো ফেল করে।

এদিকে আজ যৌন হয়রানির অভিযোগ স্বীকার করলেন আহসানউল্লাহ শিক্ষক ফেরদৌস। ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (এইউএসটি) সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রশীদ ফেরদৌস।আজ শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলামের খাসকামরায় আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন ফেরদৌস। আগামি ৩০ মে মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে দুইদিন রিমান্ড শেষে আসামিকে গতকাল আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক শামীম আহমেদ।

আসামি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সে সহকারী প্রক্টর একইসাথে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের (ইইই) শিক্ষক। গত ৪ মে কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একইদিন আদালতে হাজির করে ৭ দিনর রিমান্ড চাইলে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদউল্লাহ আল সায়েম ৩ মে রাতে কলাবাগান থানায় এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পড়া বোঝানোর নামে শিক্ষার্থীদের নিজের ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করতেন ফেরদৌস। তার ডাকে সাড়া না দিলে শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিতেন।

ফ্ল্যাটে ডেকে কৌশলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে ফেরদৌস তার অফিসিয়াল নম্বরে আজেবাজে ম্যাসেজ পাঠিয়ে রাখতেন, যা দিয়ে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলতেন। কৌশলে তিনি শিক্ষার্থীদের নিজের ফ্ল্যাটে যেতে বাধ্য করতেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল থেকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করে  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করলে তাৎক্ষণিকভাবে ফেরদৌসকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।