• বৃহস্পতিবার , ৭ নভেম্বর ২০২৪

ওয়ান্টেড হাসিনা-গ্রেপ্তার হতে হবে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে


প্রকাশিত: ৩:৩৫ এএম, ১৮ অক্টোবর ২৪ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২ বার

 

বিশেষ প্রতিনিধি :  অবশেষে ওয়ান্টেড হাসিনা। জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৮ নভেম্বরের মধ্যে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের করা আবেদন গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। সদস্যরা হলেন, বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। পরে ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।

এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় গণহত্যার বিচারিক প্রক্রিয়া। এজলাসে বসেন চেয়ারম্যানসহ ৩ বিচারক। প্রথম কর্মদিবসে কার্যতালিকায় রয়েছে ৩টি অভিযোগ। ট্রাইব্যুনালের সূচনা বক্তব্যে বিডিআর বিদ্রোহে ৭৪ জন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ, র‍্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যা, জুলাই গণ-হত্যাসহ আওয়ামী শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনা তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

পরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ। জানা গেছে, এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে জমা পড়েছে ৬০টির মতো অভিযোগ। এসবের ৫৪টিতেই মূল আসামি শেখ হাসিনা।এর আগে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে  পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান আইন উপদেষ্টা। এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম, হত্যা, গণহত্যার অভিযোগগুলো আনা হয়েছে।

এদিকে-আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে যা প্রয়োজন সেটি অবশ্যই সরকার করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে চারটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেটির প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই রুমে ঢোকার পাঁচ মিনিট আগে আমি খবরটা জেনেছি। আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আদালত একমাস সময় দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে ফেরত আনার জন্য যা যা প্রয়োজন সেটি অবশ্যই আমরা করব।

এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার স্ট্যাটাসটা কি, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্র খবরটা এসেছে, সামনে হয়ত আপডেট পাব। ডিটেইলস আসলে হয়ত জানাতে পারব।
শেখ হাসিনাকে কি প্রক্রিয়ায় আনা হবে সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিভাবে আনা হবে সেটি গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ হলো কোর্ট বলেছে তাদের গ্রেফতার করতে। পরোয়ানা তো আমার কাছে আসেনি, এসেছে পুলিশের কাছে। কিন্তু পুলিশ সেটি পারবে না, কারণ সে দেশে নেই। যখন আমাদের কাছে আসবে তখন আমরা ব্যবস্থা নেব। এটুকু আজকে বলতে পারি।