• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

মি. ফিজের জন্যে হায়দারাবাদে কান্না..


প্রকাশিত: ৪:০৪ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩৪ বার

mmmস্পোর্টস রিপোর্টার  : মি. ফিজের জন্যে হায়দারাবাদে কান্না..। ভারতে হায়দ্রাবাদ টেস্টে বাংলাদেশ দল যাকে ভীষণভাবে মিস করছে, তিনি হলেন মুস্তাফিজুর রহমান। টেস্টে লম্বা স্পেল বল করার মতো এখনও ফিট হয়ে উঠতে পারেননি তিনি, জানিয়েছেন নির্বাচকরা। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, মুস্তাফিজুর দলের বাইরে থাকায় হায়দ্রাবাদের ক্রিকেট সমর্থকরাও বেশ হতাশ – কারণ আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দলে খেলার সুবাদে মুস্তাফিজ এই শহরেরও প্রিয় ‘ঘরের ছেলে’।

ttমাঠে না-থেকেও মুস্তাফিজুর রহমান কীভাবে হায়দ্রাবাদ টেস্টে ছেয়ে রয়েছেন, সেটা সত্যিই অবাক করার মতো। উপ্পলের স্টেডিয়ামে যারাই ক্রিকেট দেখতে আসেন, তারাই জানেন এই মাঠে কারণে-অকারণে বেজে ওঠে শহরের নিজস্ব দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের থিম সং।তেলেগু ভাষার এই গানে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন দলের ক্রিকেটারদের বীরগাঁথা – যার অন্যতম বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান।

কিন্তু ভাগ্যের এমনই পরিহাস, মুস্তাফিজের দেশ যখন এই মাঠে টেস্ট খেলতে নেমেছে, আঘাতের কারণে তখন তিনিই দলের বাইরে। দুনিয়া ঘুরে বাংলাদেশ দলের জন্য গলা ফাটান যিনি, সেই ফাহিমুল হক মিলন ওরফে মিলন টাইগার বলছিলেন, মুস্তাফিজ এই টেস্টে না-থাকায় খুব বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

“আমার তো মনে হয় শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের একশো তিরিশ কোটি মানুষও মুস্তাফিজকে মিস করল। ও তো শুধু বাংলাদেশের নয়, সবার প্রিয়!”, বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন মিলন টাইগার।
মুস্তাফিজ থাকলে ভারত কি পারত এই প্রায় সাতশো রানের পাহাড় গড়তে?

জবাবে মিলন বলছিলেন, “সেটা হয়তো নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। ভারতের ভিরাট কোহলি এখন দুনিয়ার সেরা ব্যাটসম্যান সন্দেহ নেই। ভারত সত্যিই ভাল খেলেছে, কিন্তু মুস্তাফিজ থাকলে লড়াইটা অনেক জমত।”এদিকে আজ শনিবার ছুটির দিনেও হায়দ্রাবাদে মাঠ ভরেনি, আয়োজকদের এটা একটা বড় আক্ষেপ।

তবে সানরাইজার্সের অন্যতম কর্মকর্তা ভেঙ্কটরামন বলছিলেন মুস্তাফিজ বাংলাদেশ দলে থাকলে হয়তো ছবিটা অন্য রকম হত।তার বলতে দ্বিধা নেই, “হায়দ্রাবাদে ‘দ্য ফিজে’র একটা অন্যরকম প্রভাব আছে। মুখচোরা বাঙালি ছেলেটাকে শহরের ক্রিকেট ভক্তরা ভালও বেসে ফেলেছেন। তবে ভারতের সব শহরেই টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক কমেছে – তবে তারপরেও হয়তো মুস্তাফিজ থাকলে আরও বেশি সংখ্যায় দর্শকরা আসতেন।”

গ্যালারিতেও দেখা গেল, যারা এসেছেন তারাও অনেকেই মুস্তাফিজ রহমানের স্লোয়ার বা কাটারের ভক্ত। তাদের একজন রাকেশ বলছিলেন, “যেহেতু মুস্তাফিজ হায়দ্রাবাদে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছে, এই মাঠের পিচটা তার হাতের তালুর মতো চেনা – তাই ও এখানে ভীষণ উপযোগী হত।”

পাশ থেকে তার বন্ধু যোগ করেন, হায়দ্রাবাদ যে মুস্তাফিজকে মিস করছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্ভবত সেরা আবিষ্কারকে একটাই বার্তা দিতে চান – তিনি যেখানেই থাকুন, যেমনই থাকুন – হায়দ্রাবাদ তাকে ভোলেনি।