• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

অতি আত্মবিশ্বাস-৩৪১ রানেও ডুবলো টাইগাররা!


প্রকাশিত: ৪:১৩ এএম, ২৮ মে ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১ বার

স্পোর্টস রিপোর্টার : অতি আত্মবিশ্বাস এর ফলে ৩৪১ রানেও ডুবলো টাইগাররা! অথচ একটু মনোযোগ দিয়ে Tamim-www.jatirkhantha.com.bdখেললে এবং নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলে টাইগাররা বদলে দিতে পারতো হিসেব নিকেশ। যাহোক- সেঞ্চুরি দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন শুরু করলেন তামিম ইকবাল। প্রস্তুতি ম্যাচে ১০২ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তিনি।  এজবাস্টনের যে উইকেটে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল বাংলাদেশ, সেটার অবস্থান দেখলে যে কারোরই অবাক হওয়ার কথা।

উইকেট থেকে পশ্চিম প্রান্তের বাউন্ডারির দূরত্ব যে টেনেটুনে ৩৫-৩৬ গজ! উইকেটের এমন অদ্ভুত অবস্থান বিস্মিত করেছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকেও। এরকম উইকেট তো আর যা-ই হোক, প্রস্তুতির জন্য ভালো উইকেট হতে পারে না মোটেও।

তবে শেষমেশ সেই উইকেটেই খেলা হলো, হলো রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচ। টাইগারদের দেওয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্য দুই উইকেট হাতে রেখে তাড়া করে ফেলল পাকিস্তান। রান তাড়ায় নেমে এদিন শুরুতেই আজহার আলি ও বাবর আজমকে হারায় পাকিস্তান। এরপর হাল ধরেন মোহাম্মদ হাফিজ। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ শেহজাদের সঙ্গে ৫৯ আর পঞ্চম উইকেটে শোয়েব মালিকের সঙ্গে গড়েন ৭৯ রানের জুটি।

যদিও অর্ধশতক পূরণ করতে পারেননি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, ৪৯ রানে আউট হন শফিউল ইসলামের বলে। ৭২ রান করে মালিক ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। ২৪৯ রানে যখন অষ্টম উইকেট হারায় পাকিস্তান, জয় তখনও অনেক দূরের পথ। কিন্তু সেখান থেকেই দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান ফাহিম আশরাফ আর হাসান আলির দুটি ঝড়ো ইনিংসে তিন বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। ৩০ বলে চারটি করে চার আর ছক্কায় ৬৪ রান করেন ফাহিম, হাসান আলি করেন ১৫ বলে ২৭।

এর আগে টসে জিতে এদিন শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলপতি মাশরাফি। সৌম্য সরকার তাড়াতাড়ি ফিরে গেলেও আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল এদিন ছিলেন অনবদ্য। ৯৩ বলে নয়টি চার আর চারটি ছক্কায় ১০২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

এদিন সাবি্বর রহমানের বদলে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন ইমরুল কায়েস। সুযোগ পেয়ে নিজের পারফরম্যান্সের ছাপ রাখতে ভোলেননি ইমরুল, ৬২ বলে তিনি করেন ৬১ রান। তামিম আর ইমরুল কায়েসের জুটিতেই মূলত বড় সংগ্রহের ভিত পায় টাইগাররা, দ্বিতীয় উইকেটে এ দু’জন স্কোরকার্ডে যোগ করেন ১৪২ রান। শাদাব খানের বলে ইমরুল আউট হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৫০ রানের আরেকটি জুটি গড়েন তামিম।

তবে সেঞ্চুরির পরপরই শাদাবের বলে জুনায়েদ খানের হাতে ক্যাচ দেন এই ওপেনার। খানিক বাদে বিদায় নেন মুশফিকও, জুনায়েদের বলে আউট হওয়ার আগে তিনটি করে চার ও ছক্কায় তিনি করেন ৪৬ রান। এরপর সাকিব আল হাসানের ২৩, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ২৯ আর লেট মিডল অর্ডারে মোসাদ্দেক হোসেনের ১৫ বলে করা ২৬ রানে বাংলাদেশ বড় সংগ্রহ পায়।

স্লগ ওভারে পাকিস্তানি বোলারদের চমৎকার নিয়ন্ত্রিত বোলিং অবশ্য সংগ্রহটাকে আরও বড় হতে দেয়নি। বাংলাদেশ না পারলেও ব্যাটিং ইনিংসের শেষদিকের পুরো সময়টাই কাজে লাগিয়েছে পাকিস্তান, ফাহিম আর হাসান আলি মাত্র ৬.৫ ওভার ব্যাট করে তুলেছেন ৯৩ রান। স্লগ ওভারে দু’দলের বিপরীতমুখী ব্যাটিংই শেষ পর্যন্ত পার্থক্যটা গড়ে দেয়।