• শুক্রবার , ৩ মে ২০২৪

হজ ও ওমরার সওয়াব পাওয়া যায় যে নামাযে-


প্রকাশিত: ২:৩১ পিএম, ২৪ আগস্ট ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩১ বার

israk namaj-www.jatirkhantha.com.bdটিপু সুলতান .ঢাকা: সূর্য উদয়ের পর যে দুই বা চার রাকআত নফল নামায পড়া হয়, তাকে ইশরাক-এর নামায বলে। এই নামায দ্বারা এক হজ ও এক উমরার সওয়াব পাওয়া যায়। হাদিসে কুদসিতে রাসুলে করিম হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মানুষ, তুমি দিনের প্রথম অংশে আমার জন্য চার রাকাত নামাজ আদায় করো। তাহলে এই দিনে তোমার যা কিছু প্রয়োজন হয়, সবই আমি পূরণ করে দেব।’
এ হাদিসে কুদসি দ্বারা প্রমাণ হয়, ইশরাকের নামাজ চার রাকাত। তবে দুই রাকাত পড়লেও চলে। সাধারণত দুই রাকাতই পড়া হয়। চার রাকাত পড়ে নেওয়া উত্তম। তিরমিজি শরিফে বর্ণিত আরেক হাদিসে নবী করিম হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জামায়াতে ফজরের নামাজ আদায় করে সূর্য উদয় না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই বসে থাকল এবং আল্লাহর নামে জিকির-আযকার করতে থাকল, এরপর সূর্য ভালোভাবে আকাশে দেখা দিলে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ল, সেই ব্যক্তি একটি হজ ও একটি উমরা আদায়ের সওয়াব পাবে।’

ইশরাক নামাজের নিয়ত
ইশরাকের নামাজের জন্য বিশেষ কোনো নিয়ত নেই। আরবিতেও নিয়ত বলা আবশ্যক নয়। শুধু এটুকু বললেই হলো, আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কেবলামুখী হয়ে ইশরাকের দুই রাকাত নফল নামাজের নিয়ত করছি, আল্লাহু আকবার।

সূর্য উদয় হওয়ার অন্তত ২০ মিনিট পর ইশরাকের ওয়াক্ত শুরু হয়। এবং দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত ওয়াক্ত বাকি থাকে। তবে ওয়াক্তের শুরুতেই পড়ে নেওয়া উত্তম।ফজরের নামায আদায়ের পর সেই স্থানেই বসে থেকে দোয়া দুরুদ, যিকির আযকার ও তাসবিহ তাহলিতে লিপ্ত থাকবে।ইশরাকের নামায যে কোনো সূরা/কেরাত দিয়ে পড়া যায়।