• মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪

সেঞ্চুরী আক্ষেপে মুমিনুল


প্রকাশিত: ৭:৪০ পিএম, ২৮ এপ্রিল ১৫ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬০ বার

স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা: মুমিনুল-সর্বশেষ খেলেছেন বিশ্বকাপে, এমসিজিতে। জাতীয় দলের সঙ্গে আছেন। কিন্তু একাদmominulশে খুব একটা সুযোগ পাচ্ছিলেন না । এমনিতে বাংলাদেশ টেস্ট খেলে কম। খুলনায় টেস্ট হচ্ছে পাঁচ মাস পর।ওয়ানডে দলে নিয়মিত সুযোগ না পাওয়াটা টেস্টে তাঁর জন্য কি চাপ হয়ে উঠবে?
কোথায় চাপ? চাপ-টাপ পাশে সরিয়ে টেস্টে ধারাবাহিকতার প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠা মুমিনুল আজও দেখালেন নিজের ‘ক্লাস’। খেললেন ৮০ রানের ইনিংস। ফিরলেন জুলফিকার বাবরের বলে এলবিডব্লু হয়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম—বাংলাদেশের নিয়মিত দুটি ভেন্যুতেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। খুলনায় সেঞ্চুরির দারুণ সুযোগ প্রথম ইনিংসে হাতছাড়া হলো। তবে তাঁর ৮০, ইমরুলের ৫১ ও মাহমুদউল্লাহর ৪৯ রানের সৌজন্যে বাংলাদেশ প্রথম দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ২৩৬ রান নিয়ে। ১৯ রানে অপরাজিত সাকিব আল হাসান।
এর আগে যতবার ৭০-এর ঘরে গেছেন, সেঞ্চুরি করেই থেমেছেন। আজই প্রথম মুমিনুল আউট হলেন ৮০-এর ঘরে। তবে আজ যা করেছেন তাতেও রেকর্ড বইয়ের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম তুলতে যথেষ্ট! কমপক্ষে ফিফটি পেয়েছেন আগের নয় টেস্টেও। ১০ টেস্টে পঞ্চাশের বেশি ইনিংস খেলার রেকর্ডের খাতায় নাম লেখালেন এ বাহাঁতি। যে রেকর্ডটি আছে শচীন টেন্ডুলকার ও জন এডরিচের।

সকাল থেকেই মেঘ-সূর্যের দারুণ ‘লড়াই’ হলো। আকাশে কখনো মেঘের আধিপত্য, কখনো বা সূর্যের। একবার তো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হলো। তবে তা খেলা থামানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। দিন শেষে সূর্যেরই আধিপত্য। খুলনা টেস্টেও প্রথম দিনে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের লড়াইটা এমনই হলো।

কখনো বাংলাদেশকে চেপে ধরেছিল পাকিস্তান। প্রথম সেশনে রান উঠল ৬০, ওভার প্রতি ২ করে, উইকেট হারাল একটি। লাঞ্চের মাত্র তিন ওভার আগে ২৫ করে ফিরছেন তামিম। আবার সে চাপ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ জবাব দিল দারুণভাবে। দ্বিতীয় সেশনে ৯০ রান, ওভারপ্রতি ৩.১০ করে, উইকেট গেল ১টি, এবার ইমরুল। শেষ সেশনে রান উঠেছে ৮৬, উইকেট পতন দুটি। ওয়ানডে সিরিজে অনুজ্জ্বল মাহমুদউল্লাহ ক্ষণে ক্ষণেই বিশ্বকাপের ফর্মটাকে মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন। মুমিনুলের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৯৫ রানের জুটিও গড়েছেন।

ফিরলেন ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হয়ে। ১৩ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চম সেঞ্চুরি থেকে যে মাত্র ২০ রান দূরে ছিলেন। বাবরের বলটাও রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছিলেন। কিন্তু ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল লাগল প্যাডে। সেটি ৮৯.৫ ওভার। দিনের বল বাকি ছিল মাত্র আর একটিই!মুমিনুলের আউটটাই হয়ে গেল দিনের শেষ বল।