• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

নূর আলী’দের ফেসবুকাঘাত-


প্রকাশিত: ১১:৩৫ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২৩ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৩ বার


লাবণ্য চৌধুরী : কথায় বলে পেটে খেলে পিঠে সয় কিন্তু কষ্ঠের টাকা কেউ ক্ষমতার জোরে পেশি শক্তির জোরে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে মেরে দিয়ে বহাল থাকলে তা সহ্য করা যায় না! বাংলাদেশের বিখ্যাত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সম্রাট’ও তাই পারেননি! পাওনা টাকার শোকের সঙ্গে সম্রাটের নিজের ও পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছিল তা কিন্তু নিরবে নিভৃতে গুমরে কেঁদেছে..! কেউ তা দেখেনি! সম্রাটের ফেসবুক স্ট্যাটাস সেই শোক দুঃখ ও না পাওয়ার বেদনা। যে কারণে ”আহা নূর আলী! আপনার জন্য কোনো শোক নয়, করুনা হয়” স্ট্যাটাস এসেছে ফেসবুকে!!

ইসলামে আছে শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগে তার পারিশ্রমিক শোধ করে দেয়া উচিত।কিন্তু নূর আরীর মতো টাকাওয়ালারা সেটাকে থোরাই কেয়ার করেন কেন! নিরীহ সংবাদ কর্মীদের টাকা মেরে দেয়া মালিকদের এভাবেই শোকের সময়েই তা মনে করিয়ে দিতে হবে।
কোটি কোটি টাকার মালিক কিন্তু সংবাদ কর্মীদের টাকা মেরে খেয়েছেন। এতে হয়ত তাদের চেতনার বিকাশ হতে পারে? যা সম্রাট মনে করিয়ে দিয়েছেন ফেসবুকে।

সম্রাটের ফেসবুক স্ট্যাটাস এখানো তুলে ধরা হলো:-
”আহা নূর আলী! আপনার জন্য
কোনো শোক নয়, করুনা হয়”

”যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইউনিক গ্রুপ ও নতুন ভিশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নূর আলীর কন্যা নাদিহা আলী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) শিকাগো বিমানবন্দরের কাছে এক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। নূর আলী ও সেলিনা আলী দম্পতির দ্বিতীয় কন্যা নাদিহা আলী।

নাঈমুল ইসলাম খানের কাছ থেকে প্রতিশ্রুত অর্থ না দিয়েই দৈনিক আমাদের সময় নিয়ে নেন এই আদম ব্যবসায়ী ও রাষ্ট্রীয় নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত পচাঁ বাম নেতা নূর আলী। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চিফ রিপোর্টার ছিলাম আমি। প্রায় ৮ বছর কোনো সাপ্তাহিক ছুটি না নিয়ে অসংখ্য সংবাদকর্মী পত্রিকাটি দাড় করিয়েছিল। নাঈম ভাইকে বিদায় করার অনেক পরে আমিসহ বেশিরভাগ সংবাদকর্মীকে নাঈমের লোক বলে বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু আমার আট বছরের সার্ভিস বেনিফিট এবং যে মাসে বিদায় করে দেন, তার ২৫ দিনের বেতন’ও দেননি এই নূর আলী।

সড়ক দুর্ঘটনায় আকাল মৃত্যুর শিকার তার মেয়ে ছিল নতুন ভিশনের পরিচালক। নূর আলীর অর্থ প্রতিপত্তির কোন কিছু ভোগ করার অনেক ঊর্ধ্বে এখন তিনি। সংবাদকর্মীরা খুব একটা টাকা পয়সা পাননা। আমাকে যখন না করা হয় তখন হয়তো সর্বোচ্চ আমি ১২/১৪ লাখ টাকা পেতাম। যা এখনও পাই। এবং আমি কোনোদিন এর দাবি ছাড়বো না।

ইতিমধ্যেই নূর আলীকে কুবুদ্ধিদাতা কল্লোল অকালে পটল তুলেছে। আজ শুনলাম পরিচালকের মৃত্যু। আরো দু লম্পট পরে সম্পাদক হয়েছিল। তারাও নেই। নানা কুবুদ্ধি দিয়ে হঠাৎই নূর আলীর ঘনিষ্ট হওয়া আমার এক বন্ধু করোনার শুরুতেই পটল তুলেছে।
পৃথিবীটা খুব ক্ষনিকের একটি যাত্রা। কিন্তু কেউ সেটা অনুধাবন করেনা। নূর আলী কয়েক দফায় সরকারের সঙ্গে চিট করা টাকা ফেরত দিলেও কোন সংবাদকর্মীর টাকা ফেরত দেয়নি।

তাঁর মেয়ের মৃত্যুর সময়ে ফেসবুকে এমন পোস্ট দেয়া কোনভাবেই ঠিক হয়নি। এটা আমার এক অমার্জনীয় অপরাধ। তারপরেও আমি এই অপরাধ বারংবার করতে রাজি আছি, যতোদিন না আমার সহকর্মীরা নূর আলীর কাছ থেকে প্রাপ্য টাকা ফেরত না পাবে। এক একজন সংবাদকর্মী দীর্ঘশ্বাস নূর আলীর এক একটি বিপর্যয়ের কারন হবে। আজ নূর আলীর জন্য কোন শোক নয়, আমার শুধু করুনাই হয়!”